মার্কাস স্টইনিস, অক্ষর প্যাটেল, পৃথ্বী শ নাকি কাগিসো রাবাডা - কে হবেন ম্যাচের সেরা? তা বাছতে গিয়ে রীতিমতো কালঘাম ছুটল বিচারক সাইমন ডুয়েলের। সেটাই বোধহয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে দিল্লি ক্যাপিটালসের আধিপত্য কতটা ছিল, তা বোঝানোর জন্য যথেষ্ট।
সোমবার দুবাইয়ে শুরুর ছ'ওভারে পুরোপুরি দাপট দেখান পৃথ্বী শ এবং শিখর ধাওয়ান। সপ্তম ওভারে পৃথ্বী আউট হওয়ার পর কিছুটা খেলায় ফেরেন বিরাট কোহলিরা। তারপর ছয়-সাত ওভার দিল্লিকে চাপে রেখেছিলেন তাঁরা। ব্যস, ওইটুকুই। শেষের ওভারগুলিতে পুরোপুরি ছড়ি ঘোরায় দিল্লি। স্টইনিসের ২৬ বলে অপরাজিত ৫৩ রান এবং ঋষভ পন্থের ২৫ বলে ৩৭ রানের সৌজন্যে চার উইকেটে ১৯৬ রান তোলেন শ্রেয়স আইয়াররা। শেষ পাঁচ ওভারে ব্যাঙ্গালোরের বোলাররা ৬২ রান খরচ করেন। সেখানেই যেন দমে গিয়েছিলেন বিরাটরা।
আইপিএলের যাবতীয় আপডেট, লাইভ স্কোর, পয়েন্ট টেবিল দেখুন এখানে
ব্যাট করতে নেমে তিন-তিনবার জীবনদান পান অ্যারন ফিঞ্চ। এত ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়া সত্ত্বেও তার ফায়দা নিতে পারেনি ব্যাঙ্গালোর। বরং প্রথম ৩৫ বলের মধ্যেই দুই ওপেনার এবং এবি ডি'ভিলিয়ার্সকে হারিয়ে ম্যাচ হেরে বসে। অক্ষর প্যাটেলের স্পিনের জালে রীতিমতো হাসফাঁস করতে থাকেন তাঁরা।
তবুও বিরাট যতক্ষণ ছিলেন, একটা টিমটিম করে আশার প্রদীপ জ্বলছিল। কিন্তু একেবারে নিখুঁত সময় রাবাডাকে আনেন শ্রেয়স। যথারীতি বিপক্ষের সেরা ব্যাটসম্যানের উইকেট তুলে নেন রাবাডা। বিরাট বলে নয়, বিপক্ষের সেরা ব্যাটসম্যান ক্রিজে নামলেই রাবাডার হাতে বল তুলে দেওয়ার কৌশল নিয়েছেন দিল্লি অধিনায়ক। আর রাবাডার ভাব তো এমন যে ম্যাচের শুরু, মাঝের ওভার বা ডেথ - যেখানেই বল দেবেন শ্রেয়স, সেখানেই বাজিমাত করবেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধেও আন্দ্রে রাসেলকে আউট করেছিলেন। বিরাটের বিদায়ও হয় তাঁর হাতে। ১৩.৩ ওভারে বিরাট আউট হতেই ব্যাঙ্গালোরের আশা শেষ হয়ে গিয়েছিল। একটাই দেখার বিষয় ছিল, বিরাটদের রানরেট কতটা খারাপ হয়। শেষপর্যন্ত ৫৯ রানে বশ্যতা স্বীকার করে ব্যাঙ্গালোর।
কেমন হল RCB vs DC ম্যাচ - দেখে নিন বিস্তারিত
সেই কাজটা দিল্লি যত সহজে করেছে, ম্যাচের সেরা বাছার কাজটা ততটাই কঠিন হয়ে ওঠে। একদিকে ছিলেন পৃথ্বী। যিনি ২৩ বলে ৪২ রান করে বড় রানের ভিত গড়ে দেন। ছিলেন অক্ষর। অমিত মিশ্রের পরিবর্তে দলে ঢুকে চার ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে দু'উইকেট নেন তিনি। সঙ্গে ভেঙে দেন ব্যাঙ্গালোরের প্রতিরোধ গড়ে তোলার ন্যূনতম সম্ভাবনাও। আর রাবাডার পরিসংখ্যান তো চমকপ্রদ - চার ওভারে ২৪ রান দিয়ে চার উইকেট। ম্যাচের পরে তো কেভিন পিটারসেন বলেই দেন, স্টইনিস, রাবাডা এবং অক্ষর - তিনজনকেই ম্যাচের সেরার পুরস্কার দেওয়া হোক। শেষপর্যন্ত অক্ষরকে বেছে নেওয়া হয়। যে কাজটা অত্যন্ত কঠিন ছিল বলে স্বীকার করেছেন বিচারক।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।