
RCB vs DC: ছুটছে দিল্লি, ব্যাটিং-বোলিংয়ের স্টিম রোলারে ৫৯ রানে দুরমুশ ব্যাঙ্গালোর
Updated: 06 Oct 2020, 01:07 AM IST- ব্যাঙ্গালোরকে ৫৯ রানে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে এলেন শ্রেয়স আইয়াররা।
একটি ম্যাচেই কিছুটা অফ ফর্মে ছিলেন। তারপর যত টুর্নামেন্ট এগোচ্ছে, তত টাট্টু ঘোড়ার মতো ছুটছেন রিকি পন্টিংয়ের ছেলেরা। পথে যে দল আসছে, তাদের দুরমুশ করে দিচ্ছেন তাঁরা। সোমবার সেই দুরমুশের তালিকায় নাম উঠল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। নিজেদের ব্যাটিংয়ের ছয়-সাতটি ওভার বাদে বিরাট কোহলিদের ম্যাচে থাকতেই দিল না দিল্লি ক্যাপিটালস। তার নিটফল হিসেবে ব্যাঙ্গালোরকে ৫৯ রানে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে এলেন শ্রেয়স আইয়াররা।
ম্যাচের সেরা কে? অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জেরে জয়ী বাছতে ছুটল কালঘাম - পড়ুন এখানে
পাঁচ ম্যাচে চারটি জয়-সহ লিগ টেবিলের শীর্ষে আছে দিল্লি ক্যাপিটালস।
ম্যাচের সেরা হলেন অক্ষর প্যাটেল। অমিত মিশ্রের পরিবর্ত হিসেবে দলে এসেই বাজিমাত।
দিল্লির ১৯৬ রানের জবাবে ২০ ওভারে ন'উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানের বেশি তুলতে পারল না ব্যাঙ্গালোর। ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে দিল্লির সবথেকে বড় রানের জয়।
একটি ম্যাচেই কিছুটা অফ ফর্মে ছিলেন। তারপর যত টুর্নামেন্ট এগোচ্ছে, তত টাট্টু ঘোড়ার মতো ছুটছেন রিকি পন্টিংয়ের ছেলেরা। পথে যে দল আসছে, তাদের দুরমুশ করে দিচ্ছেন তাঁরা। সোমবার সেই দুরমুশের তালিকায় নাম উঠল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। নিজেদের ব্যাটিংয়ের ছয়-সাতটি ওভার বাদে বিরাট কোহলিদের ম্যাচে থাকতেই দিল না দিল্লি ক্যাপিটালস। তার নিটফল হিসেবে ব্যাঙ্গালোরকে ৫৯ রানে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে এলেন শ্রেয়স আইয়াররা।
ইনিংসের শুরুতে ওপেনারকে আউট, বিপক্ষের সেরা ব্যাটসম্যানকে আউট হোক বা টেলএন্ডার সাফ করা হোক - যখনই অধিনায়ক ডেকেছেন, তখনই উইকেট তুলেছেন কাগিসো রাবাডা। চার ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে চার উইকেট পেয়েছেন তিনি। তাঁর শিকারের মধ্যে আছেন বিরাট কোহলিও। বেগুনি টুপিও এখন রাবাডার দখলে। টানা ১৯ ম্যাচে উইকেট পেয়েছেন তিনি।
বেহাল ব্যাঙ্গালোর। বিরাট কোহলি কিছুটা দাঁড়িয়েছিলেন। বাকিরা কিছুই করতে পারলেন না। ১৬ তম ওভারের শেষ বলে আউট হলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ব্যাঙ্গালোরের স্কোর ছ'উইকেটে বিরাটের স্কোর ১১৫ রান।
প্রথম দু'বলে তিনরান হয়েছিল। স্বভাবতই মাথায় বড় রানের বোঝা চাপছিল। বাধ্য হয়ে বড় শট মারতে গিয়ে ব্যাটের কাণায় লেগে উইকেটের পিছনে বল চলে যায়। ভালো ক্যাচ ধরেন পন্থ। ব্যাঙ্গালোরের স্কোর ১৩.৩ ওভারে পাঁচ উইকেটে ৯৪। কোহলি করেছেন ৩৯ বলে ৪৩ রান।
অমিত মিশ্রের অভাব শুধু ঢেকে দিচ্ছেন না, তাঁর অভাবও মালুম হতে দিচ্ছেন না অক্ষর প্যাটেল। ১২ তম ওভারের শেষ বলে মাঠের সবথেকে বড় দিকে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি টপকে দিতে পারলেন না মইন আলি। মিড-উইকেটে ধরা প়লেন শিমরন হেটমায়ারের হাতে। ব্যাঙ্গালোরের স্কোর ১২ ওভারে চার উইকেটে ৭৫।
বিরাট কোহলি ও মইন আলির হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে ব্যাঙ্গালোর। ১০ ওভারে ব্যাঙ্গালোরের স্কোর তিন উইকেটে ৬৩।
১৯৭ রান করতে নেমে শুরুতেই ব্যাপক চাপে পড়ে গেল ব্যাঙ্গালোর। ৫.৪ ওভারে দুর্ধর্ষ চার মেরে পরের বলেই আউট হয়ে গেলেন এবি ডি'ভিলিয়ার্স। ৫.৫ ওভারে ব্যাঙ্গালোরের স্কোর তিন উইকেটে ৪৩।
অভাবনীয় নজির বিরাটের, প্রথম ভারতীয় হিসেবে পেরোলেন মাইলস্টোন – পড়ুন এখানে
২৪ বলের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে গেল ব্যাঙ্গালোর। তাদের স্কোর ২ উইকেটে ২৭ রান। এবার আউট হলেন অ্যারন ফিঞ্চ। পেসের হেরফের ঘটিয়ে ফিঞ্চকে ধোঁকা খাওয়ালেন অক্ষর প্যাটেল। উইকেটের পিছনে দুর্ধর্ষ ক্যাচ ঋষভ পন্থ।
তৃতীয় বলে মানকাডিং করলেন না অশ্বিন। দেবদূত পাড়িক্কালকে বল করার সময় অনেকটা বাইরে ছিলেন ফিঞ্চ। সতর্ক করেই ছেড়ে দিলেন অশ্বিন। কোচ রিকি পন্টিংয়ের প্রভাব।
তনবার তিনবার জীবনদান পেয়েছিলেন ফিঞ্চ। কিন্তু সেই সৌভাগ্য হল না দেবদূত পাড়িক্কালের। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে আউট হলেন তিনি। তিন ওভার শেষে বিরাটদের স্কোর এক উইকেটে ২০।
৯ বলের মধ্যে ৩ বার বাঁচলেন ফিঞ্চ
দ্বিতীয় বলেই অ্যারন ফিঞ্চের ক্যাচ ফস্কালেন কাগিসো রাবাডা। আচমকা চলে এলেও রাবাডার হাতে বল এসেছিল। সেই ক্যাচ ধরা যেত। তারইমধ্যে ওভারের শেষ বলে ফিঞ্চের ব্যাটের কাণায় লেগে বল ধাওয়ানের সামনে পড়ল।
রান তাড়া শুরু করল ব্যাঙ্গালোর। ওপেন করছেন দেবদূত পাড়িক্কাল ও অ্যারন ফিঞ্চ। বল হাতে কাগিসো রাবাডা।
নভদীপ সাইনির বিমার হাতে লেগেছিল। তখনই ক্ষমা চাননি নভদীপ। পরের বলে ক্ষমা চাইলে ততক্ষণে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ লাগছিল মার্কাস স্টইনিসকে। আর সেই ‘রাগ’ গিয়ে পড়ল পুরো ব্যাঙ্গালোরের উপর। মূলত তাঁর সৌজন্যেই চার উইকেটে ১৯৬ রান তুলল দিল্লি। ২৬ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন স্টইনিস।
আবারও বিপদ থেকে দিল্লিকে বাঁচালেন মার্কাস স্টইনিস। চার মেরে ২৪ বলে অর্ধশতরান পূরণ করলেন। তাঁর সৌজন্যেই দিল্লির রানের গতি বেড়েছে। ১৯ ওভারে দিল্লির স্কোর চার উইকেটে ১৮৪ রান। মহম্মদ সিরাজের ওভারে এল ১৩ রান।
বোল্ড ঋষভ পন্থ। বড় শট মারতে গিয়ে মহম্মদ সিরাজের কম গতির বলে ধোঁকা খেয়ে গেলেন। ১৮.২ ওভারে দিল্লির স্কোর চার উইকেটে ১৭৯। প্রথম দিকে ছন্দে না থাকলেও শেষের দিকে ভালো শট মারছিলেন। ২৫ বলে করেছেন ৩৭ রান।
১৮ ওভারে ১০ রান এল। দিল্লির স্কোর তিন উইকেটে ১৭১ রান।
আবারও জীবনদান পেলেন মার্কাস স্টইনিস। ঋষভ পন্থের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে প্রায় রান আউট হয়ে যাচ্ছিলেন অজি তারকা। কিন্তু কোহলি বলে ধরতে পারেননি।
মার্কাস স্টইনিস নামার পর কিছুটা রানের গতি বাড়ল। তারইমধ্যে ১৫ তম ওভারে রান ১৭ দিলেন নভদীপ সাইনি। কোমরের উপর বল করে একটা নো বলও দেন। কিন্তু ওভারের শেষ বলে স্টইনিসের ক্যাচ ফস্কান যুজবেন্দ্র চাহাল। দিল্লির স্কোর তিন উইকেটে রান ১৩৪। স্টইনিস করেছেন ১৪ বলে অপরাজিত ৩১ রান।
পৃথ্বী শ আউট হওয়ার পরই ছন্দ হারাল দিল্লি। রানের গতি কমল, একের পর এক উইকেট পড়তেও শুরু করল। এবার ফিরলেন শ্রেয়স আইয়ার (১১ বলে ১। যিনি গত ম্যাচে দুরন্ত খেলে সেরা হয়েছিলেন। ফ্লাইট করিয়েছিলেন মইন আলি। স্পিনের সঙ্গেই ডিপ মিচ-উইকেটে শট মারেন শ্রেয়স। কিন্তু বাউন্ডারির ঠিক আগে দুর্ধর্ষ ক্যাচ ধরেন দেবদূত পাড়িক্কাল। ১১.৩ ওভারে দিল্লির স্কোর তিন উইকেটে ৯০ রান। ৬.৪ ওভারে পৃথ্বী যখন আউট হয়েছিলেন, তখন দিল্লির স্কোর ছিল ৬৮। তারপর মাত্র ২২ রান জুড়েছে দিল্লি। তাও ২৯ বলে।
জোড়া মাইলস্টোনের দোরগোড়ায় কোহলি, আর কী কী নজির হতে পারে আজ? -- পড়ুন এখানে
পৃথ্বী শ আউট হওয়ার পরই রানের গতিতে রাশ টেনেছিল ব্যাঙ্গালোর। তারই রেশ ধরে শিখর ধাওয়ানকে আউট করলেন ইশুরু উডানা। মিডিয়াম পেসের বলে ছক্কা মারতে গিয়েছিলেন ধাওয়ান। মারার সময় হাতে ব্যাট ঘুরে যায়। লং অনে দাঁড়িয়ে থাকা মইন আলি কয়েক পা এগিয়ে এসে সহজেই ক্যাচ ধরেন। ৯.৪ ওভারে দিল্লির স্কোর দু'উইকেটে ৮২ রান।
সপ্তম ওভারে ভাঙল দিল্লির ওপেনিং জুটি। শর্ট বল অস্ত্রে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন পৃথ্বী শ। ২৩ বলে ৪২ করলেন তিনি। ৬.৪ ওভারে দিল্লির স্কোর এক উইকেটে ৬৮ রান।
ভালো শুরু দিল্লি ক্যাপিটালসের। ছ'ওভারে দিল্লির স্কোর বিনা উইকেটে ৬৩। ওয়াশিংটন সুন্দর ছাড়া খেই পেলেন না কেউ। তিন ওভারে দিয়েছেন ১৭ রান। যুজবেন্দ্র চাহালের প্রথম ওভারের দিল্লি নিয়েছে ১৮। ২২ বলে ৪২ রানে অপরাজিত পৃথ্বী। ১৪ বলে ২০ করেছেন শিখর।
মারকুটে শুরু দিল্লির। চার ওভার শেষে তাদের স্কোর বিনা উইকেট ৩৫। তবে ভালো বল করেছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। দু'ওভারে দিয়েছেন মাত্র সাত রান। দুই পেসার নভদীপ সাইনি ও ইশুরু উডানা দিয়েছেন ১৪ রান।
ভালো শুরু দিল্লির। প্রথম ওভারেই তিনটি চার মারলেন পৃথ্বী শ। প্রথম ওভার শেষে দিল্লির স্কোর বিনা উইকেটে ১৪।
শুরু শীর্ষে ওঠার লড়াই। বল হাতে শুরু করেছেন ইশুরু উডানা। ওপেন করছেন পৃথ্বী শ এবং শিখর ধাওয়ান।
কলকাতার বিরুদ্ধে আঙুলে চোট, IPL থেকে ছিটকে গেলেন অমিত মিশ্র -- এখানে পড়ুন
চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছেন অমিত মিশ্র। তাঁর পরিবর্তে অক্ষর প্যাটেল দলে এলেন। দিল্লির প্রথম একাদশ : পৃথ্বী শ, শিখর ধাওয়ান, শ্রেয়স আইয়ার, ঋষভ পন্থ, শিমরন হেটমায়ার, মার্কাস স্টইনিস, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কাাগিসো রাবাডা, আন্দ্রে নর্টজে, অক্ষর প্যাটেল এবং হরশল প্যাটেল।
অ্যাডাম জাম্পার পরিবর্তে দলে এলেন মইন আলি। দলে এলেন মহম্মদ সিরাজ। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর : দেবদূত পাড়িক্কাল, অ্যারন ফিঞ্চ, বিরাট কোহলি, এবি ডি'ভিলিয়ার্স, মইন আলি, শিবম দুবে, ওয়াশিংটন সন্দুর, ইশুরু উডানা, নভদীপ সাইনি, মহম্মদ সিরাজ এবং যুজবেন্দ্র চহাল।
টসে জিতে প্রথম বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।