ম্যাচে সুন্দর, সুপার ওভারে নভদীপ - চার মেরে নাটকীয় মহারণে RCB-কে জেতালেন কোহলি
Updated: 29 Sep 2020, 12:09 AM ISTটানা তিন ম্যাচে রান পাননি। সুপার ওভারে চার মেরে দলকে জেতালেন বিরাট কোহলি।
টানা তিন ম্যাচে রান পাননি। সুপার ওভারে চার মেরে দলকে জেতালেন বিরাট কোহলি।
চার ঘণ্টার ম্যাচে তিন ঘণ্টার মতো ম্যাচ দখলে ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। কিন্তু ৩০-৪০ মিনিটের মতো সময় ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের নিয়ন্ত্রণে ছিল। সেই সময়ের জেরেই সুপার ওভারে গড়ায় মহারণ। শেষপর্যন্ত নভদীপ সাইনির সৌজন্যে এবি ডি'ভিলিয়ার্স ও বিরাট কোহলিকে বাড়তি চাপ নিতে হল না। শেষ বলে চার মেরে দলকে জিতিয়ে দিলেন বিরাট।
ম্যাচের সেরা হলেন এবি ডি'ভিলিয়ার্স।
টানা তিন ম্যাচে রান পাননি। সুপার ওভারে চার মেরে দলকে জেতালেন বিরাট কোহলি। শেষ বলে এক রান দরকার ছিল। জসপ্রীত বুমরাহের ফুল টসে ট্রেডমার্ক ফ্লিক করে স্কোয়ার লেগে বল পাঠিয়ে দেন কোহলি। দুর্ধর্ষ ম্যাচ! তৃতীয় বলে এবিডিকে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউয়ে বেঁচে যান তিনি।
ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ব্যাট করতে নামলেন এবি ডি'ভিলিয়ার্স ও বিরাট কোহলি। বল হাতে জসপ্রীত বুমরাহ।
সুপার ওভারে দুর্ধর্ষ বোলিং করলেন নভদীপ সাইনি। মাত্র একটা বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে পারলেন পোলার্ডরা। তাও বল ফস্কানোর জন্য। শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে এক উইকেট হারিয়ে সাত রান তুলল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ম্যাচ জিততে আট রান চাই কোহলিদের।
সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করছে মুম্বই। ব্যাট করতে নেমেছেন কায়রন পোলার্ড ও হার্দিক পান্ডিয়া। বল হাতে নভদীপ সাইনি। পরের ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা।
কার্যত হারা ম্যাচ সুপার ওভারে নিয়ে গেলেন ইশান কিষান ও কায়রন পোলার্ড। শেষ ওভারে দরকার ছিস ১৯ রান। দুটি ছয় মেরে আউট হয়ে গিয়েছিলেন ইশান। শেষ বলে দরকার ছিল পাঁচ রান। শর্ট বলে ডিপ মিড-উইকেট দিয়ে চার মারলেন পোলার্ড। শেষ পাঁচ ওভারে উঠল ৮৯ রান।
ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়ে গেলেন ইশান কিষান। কিন্তু কী দুর্ধর্ষ ইনিংস খেললেন। ৯৯ রান করলেন। এক বলে চাই পাঁচ রান।
শেষ ওভারে মুম্বইয়ের চাই ১৯ রান। ১৯ তম ওভারে উঠল ১২ রান। একটা ছক্কা ও প্রথম বলের ওয়াইড ছাড়া সবকটি বল নিখুঁত করেছেন নভদীপ সাইনি।
আগের ওভারে পোলার্ডের ক্যাচ ফস্কেছিলেন যুজবেন্দ্র চহাল। তা যেন সুদে-আসলে তুলে নিলেন পোলার্ড। ১৮ তম ওভারে ২২ রান তুলল মুম্বই। শেষ বলে ছক্কা মেরে অর্ধশতরান পূরণ করলেন পোলার্ড। মাত্র ২০ বলে সেই মাইলস্টোন পেরোলেন। তাও ২০১৮ সালের পরে এই প্রথম আইপিএলে অর্ধশতরান করলেন পোলার্ড।
অ্যাডাম জাম্পার এক ওভারে ২৭ রান তুলল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ১৭ তম ওভারে তিনটি ছক্কা ও চার মারেন কায়রন পোলার্ড। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো শেষ বলে পোলার্ডের ক্যাচ ফস্কান যুজবেন্দ্র চহাল। মুম্বইয়ের স্কোর চার উইকেটে ১৪৯।
বাউন্ডারির সামনে দাঁড়িয়ে তিনটি ক্যাচ ধরেছিলেন। কিন্তু ১৬.২ ওভারে কায়রন পোলার্ডের ক্যাচ ফস্কালেন পবন নেগি। শুধু তাই নয়, তা ছক্কা হয়ে গিয়েছে।
১৫ ওভার শেষে মুমবিয়ের স্কোর চার উইকেটে ১১২ রান। ক্রিজে আছেন কায়রন পোলার্ড (ন'বলে ১০) এবং ইশান কিষান (৪৩ বলে ৬১)। শেষ ৩০ বলে মুম্বইয়ের চাই ৯০ রান।
এবার আউট হলেন হার্দিক পান্ডিয়া। অ্যাডাম জাম্পার বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে পবন নেগির হাতে জমা পড়েন। ১৩ বলে তাঁর অবদান ১৫। ১১.২ ওভারে মুম্বইয়ের স্কোর চার উইকেটে ৭৮।
দুর্দান্ত বোলিং ওয়াশিংটন সুন্দরের। চার ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন তিনিয ২৪ বলে একবারও কোনও ব্যাটসম্যান তাঁকে বাউন্ডারির বাইরে ফেলতে পারেননি।
প্রথম ওভারেই উইকেটের কলামে নিজের তুললেন যুজবেন্দ্র চহাল। ৬.৪ ওভারে কুইন্টন ডি'ককে মারার আমন্ত্রণ জানান। সেই ফাঁদে পা দেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান। সবথেকে বড় বাউন্ডারির সামনে পবন নেগির হাতে ধরা পড়েন তিনি। মুম্বইয়ের স্কোর তিন উইকেটে ৪০ রান।
দুর্দান্ত বোলিং করছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। তিন ওভারে মাত্র সাত রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাঁর বোলিংয়ের সামনে রীতিমতো হাঁসফাঁস করছে মুম্বই। ৬ ওভার শেষে মুম্বিয়ের স্কোর দু'উইকেটে ৩৫ রান।
চার বলের ব্যবধানে দু'উইকেট হারাল মুম্বই। এবার আউট হলেন সূর্যকুমার যাদব। শট খেলার মতো শরীরের বেশি কাছে বল ছিল। ইশুরু উড়ানার বলে উইকেটের পিছনে সহজ ক্যাচ ধরলেন এবিডি। ২.২ ওভারে মুম্বইয়ের স্কোর ২ উইকেটে ১৬। খাতা খুলতে পারেননি সূর্যকুমার। প্রথম ওভারের পর ভালো কামব্যাক শ্রীলঙ্কার বোলারের।
রান তাড়ার জন্য তাঁর দিকেই তাকিয়ে ছিল মুম্বই। কিন্তু ক্রিজে বেশিক্ষণ থাকতে পারলেন না রোহিত শর্মা। ১.৪ ওভারে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন। মুম্বইয়ের স্কোর এক উইকেটে ১৪। সুন্দরের শর্ট বল পেয়েই ছক্কা মারার চেষ্টা করেছিলেন রোহিত। অন্য মাঠ হলে অনায়াসে ছক্কা হত। কিন্তু দুবাইয়ে মিড-উইকেট বাউন্ডারিতে ধরা পড়ে গেলেন।
প্রথম ওভারে ১৪ রান তুলল মুম্বই।
ব্যাট হাতে ব্যর্থতার হ্যাটট্রিক কোহলির! এবার করলেন ১১ বলে ৩ রান - পড়ুন এখানে
রান তাড়া শুরু করল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ওপেন করতে নেমেছেন রোহিত শর্মা ও কুইন্টন ডি'কক। ম্যাচ জিততে অধিনায়কের দিকে তাকিয়ে দল।
১৫ ওভার শেষে ব্যাঙ্গালোরের রান ছিল ১২৩। মনে হচ্ছিল, খেলায় ফিরেছে মুম্বই। কিন্তু অন্য পরিকল্পনা ছিল দেবদূত পাড়িক্কাল, এবি ডি'ভিলিয়ার্সদের। পাড়িক্কাল আউট হওয়ার পর এবিডি ঝড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একের পর এক ছক্কা মারলেন শিবম দুবে। তাঁদের সৌজন্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেটে ২০১ রান তুলল আরসিবি। ২৪ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকলেন এবিডি। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল চারটে বাউন্ডারি এবং চারটে ছক্কায়। অন্যদিকে ১০ বলে অপরাজিত ২৭ রান করলেন শিবম দুবে।
এবি ডি'ভিলিয়ার্সের হাতে রেয়াত পেলেন না জসপ্রীত বুমরাহও। ১৯ তম ওভারের প্রথম বলেই চার মেরেছিলেন এবিডি। আর শেষ বলে ডিপ স্কোয়ার লেগের উপর দিয়ে ছক্কা মেরে অর্ধশতরান পূরণ করলেন তিনি। আর সেই রান এল মাত্র ২৩ বলে।
ক্রুণাল 'মালিঙ্গা' পান্ডিয়ার অদ্ভুত অ্যাকশনে বোলিং - পড়ুন এখানে
৪০ বলে ৫৪ রান করে আউট হয়ে গেলেন দেবদূত পাড়িক্কাল। ঢিমে গতির বল করেছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। পুল মারতে যান পাড়িক্কাল। কিন্তু ভালোভাবে মারতে পারেননি তিনি। বাউন্ডারিতে ভালো ক্যাচ ধরলেন কায়রন পোলার্ড। হ্যাটট্রিকের মুখে বোল্ট।
জসপ্রীত বুমরাহকে তিনবার বাউন্ডারির বাইরের ফেললেন এবি ডি'ভিলিয়ার্স। তার মধ্যে দু'বার ছক্কা, একবার চার। সবমিলিয়ে ১৭ তম ওভারে এল ১৮ রান।
অ্যারন ফিঞ্চ যতক্ষণ ছিলেন, তখন মোটের উপর ধরে খেলছিলেন। অজি তারকা আউট হওয়ার পরেই দলের দায়িত্ব নিজের হাতে নেন দেবদূত পাড়িক্কাল। বিশেষত বিরাট কোহলি যখন অস্বস্তিতে পড়ছিলেন, তখন তিনিই টানছিলেন। বিরাট আউট হওয়ার পর জেমস প্যাটিনসনকে পরপর দু'বলে দুটি ছক্কা মারেন। ১৫.২ ওভারে পোলার্ডের বলে চার মেরে অর্ধশতরান পূরণ করলেন পাড়িক্কাল। আইপিএল অভিষেকের পর তৃতীয় ম্যাচেও নিজের প্রতিভার পরিচয় দিলেন।
শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ছিলেন। রাহুল চাহারের বল ঠিকমতো ধরতে পারছিলেন না। কিছুক্ষণ পর কভারের উপর দিয়ে চাহারের বল তুলে দিতে গিয়ে রোহিত শর্মার হাতে ধরা পড়লেন। ১১ বলে করলেন তিন রান। টানা তিন ম্যাচে ব্যর্থ বিরাট। ব্যাঙ্গালোরের স্কোর ১২.২ ওভারে দু'উইকেটে ৯২ রান।
অবশেষে ম্যাচে কিছুটা ফিরল মুম্বই। ব্যাঙ্গালোরের প্রথম উইকেট তুললেন ট্রেন্ট বোল্ট। আউট হলেন অ্যারন ফিঞ্চ। তাঁর অবদান ৩৫ বলে ৫২ রান। বোল্টের ঢিমে গতির বলে বাউন্ডারি পার করতে চেয়েছিলেন ফিঞ্চ। কিন্তু তার আগেই লং-অফে কায়রন পোলার্ডের হাতে জমা পড়েন।
চার মেরে অর্ধশতরান পূরণ করলেন অ্যারন ফিঞ্চ। মুম্বই বোলারদের রীতিমতো শাসন করছেন তিনি। আপাতত ৩১ বলে ৫০ রানে অপরাজিত আছেন।
ভালো শুরু করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। পাওয়ার প্লে'র শেষে তাদের স্কোর বিনা উইকেটে ৫৯। প্রথম ওভারে ১০ রান দিলেন জসপ্রীত বুমরাহ।
শুরুটা নড়বড়ে করেছিলেন। তারপর মুম্বই বোলারদের শাসন করছেন অ্যারন ফিঞ্চ। রাহুল চাহারের ওভারে পরপর তিন বলে তিনটি চার মারলেন। ফিঞ্চ আপাতত ২৩ বলে ৪০ রানে অপরাজিত আছেন।
২.৩ ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের বলে ক্যাচ পড়ল অ্যারন ফিঞ্চের। তবে তা ক্যাচ পড়েছে বলার থেকে নিশ্চিত চার বাঁচল হিসেবে বলা ভালো।
দ্বিতীয় ওভারের শেষে আরসিবির স্কোর বিনা উইকেটে ১৬। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে অ্যারন ফিঞ্চের ব্যাটের কানায় লেগে বাউন্ডারি হয়। পরের বলে মিস টাইম করেন। দুর্দান্ত চেষ্টা করেছিলেন ক্রুণাল পান্ডিয়া। তবে ধরতে পারেননি।
শুরু হয় গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গাসোর বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচ। একেবারে নাটকীয় শুরু। ম্যাচের প্রথম বলেই ইশান কিষাণের দুরন্ত চেষ্টা। আঙুলের কিছুটা উপর দিয়ে বেরিয়ে যায় দেবদূত পাড়িক্কালের বল। তবে মরশুমের শুরুতেই বিরাট যে নিজের দলের বোলারদের প্রতি একেবারেই অখুশি, তা দল দেখেই স্পষ্ট।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রথম একাদশ : রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), কুইন্টন ডি'কক (উইকেটকিপার), সূর্যকুমার যাদব, ইশান কিষান, হার্দিক পান্ডিয়া, কায়রন পোলার্ড, ক্রুণাল পান্ডিয়া, রাহুল চাহার, ট্রেন্ট বোল্ট, জেমস প্যাটিনসন এবং জসপ্রীত বুমরাহ।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের প্রথম একাদশ : দেবদূত পাড়িক্কাল, অ্যারন ফিঞ্চ, বিরাট কোহলি, এবি ডি'ভিলিয়ার্স, শিবম দুবে, গুরকিরাত সিং মান, ওয়াশিংটন সুন্দর, , নভদীপ সাইনি, অ্যাডাম জাম্পা, ইশুরু উড়ানা এবং যুজবেন্দ্র চহাল।
টসে জিতে প্রথমে বোলিং নিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।