শারজার মাটিতে আজ মুখোমুখি বিরাটের রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বনাম ওয়ার্নারের সানরাইজার্স। দুটি দলের কেউই এখনও পর্যন্ত প্লে-অফের জন্য কোয়ালিফাই করেনি। তাই এদিন দুই পয়েন্ট পেয়ে যেমন নিশ্চিন্ত হতে চাইবে আরসিবি তেমন টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে জিততেই হবে সানরাইজার্সদের। একই সঙ্গে এই ম্যাচের ওপর নজর থাকবে অন্য প্লে-অফ প্রত্যাশীদেরও।
শনিবারের দ্বিতীয় ম্যাচ এটি। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি মুম্বই ও দিল্লি। ইতিমধ্যেই শেষ চারে চলে গিয়েছে মুম্বই। দিল্লি চোদ্দো পয়েন্টে আরসিবির মতো। দিল্লি যদি জেতে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে তাহলে আরও চাপ বাড়বে কোহলির দলের ওপর। কারণ তখন চারটির মধ্যে দুটি প্লে-অফ স্লট বুক হয়ে যাবে।
আরসিবি এখনও পর্যন্ত ১২টি ম্যাচ খেলে ১৪ পয়েন্ট পেয়েছে। সানরাইজার্স ১২টি ম্যাচ খেলে দশ পয়েন্টে আছে। এই মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে কোহলির দল, অন্যদিকে সপ্তম স্থানে এসআরএইচ। স্বভাবতই নাইট রাইডার্স, রাজস্থান ও পঞ্জাব চাইবে যে সানরাইজার্স জিতে আরসিবির প্লে-অফে যাওয়ার পথ শক্ত করে দিক। তবে এখানে একটি বিষয় আছে। প্রথম তিনটি দলের পর নেট রান রেট বাকি সবার নেগেটিভ। ব্যতিক্রম শুধু সানরাইজার্স। তারা যদি পরপর আরো দুটি ম্যাচ জেতে তাহলে কিন্তু খুব ভালো নেট রানরেট নিয়ে ১৪ পয়েন্টে চলে যাবে অরেঞ্জ আর্মি।
এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না যে ১৪ পয়েন্টে একাধিক দল শেষ করবে। সেখানে নেট রান রেটের বিচারে এগিয়ে যাবে একটি বা দুটি দল। সানরাইজার্স যদি ১৪ পয়েন্টে যেতে পারে তাহলে কিন্তু তাদের প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেই কথা খেয়াল রেখে বলা যায় যে এদিন যদি আরসিবি জেতেও তাহলে খুব হতাশ নাও হতে পারেন মর্গ্যান। ব্যাঙ্গালোর হয়তো চলে যাবে শেষ চারে, কিন্তু বাকি দুটি স্পটের জন্য লড়াইয়ের দাবিদার কমে যাবে, বিশেষত যদি দিল্লিও হারে এদিন। দিল্লি আর আরসিবি দুজনেই জিতলে অবশ্য খুব খারাপ হবে কেকেআরের জন্য। তাহলে একটি স্পট তখন পড়ে থাকবে প্লেঅফের জন্য। লড়াইয়ে থাকবে পঞ্জাব, রাজস্থান ও কলকাতা। সবমিলিয়ে আগামী কয়েকদিন চলবে এমন চুলচেরা হিসেব।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।