আইপিএলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ম্যাচের সাক্ষী থাকল রবিবারের শারজাহ। এই মাঠে হয়েছে অনেক ইতিহাস, উঠেছে মরু ঝড়, কিন্তু হারের কিনারায় পৌঁছে যাওয়ার পর এমন প্রত্যাবর্তন দেখেছে কি না সন্দেহ। রাহুল তেওয়াটিয়া যে এভাবে খেলার পট পরবির্তন করবেন, তা ভাবতে পারেননি, ম্যাচের শেষে স্বীকার করলেন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের অধিনায়ক কে এল রাহুল।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে আসে পঞ্জাব। তাদের হয়ে ইনিংসের সূচনা করেন কেএল রাহুল এবং মায়াঙ্ক আগরওয়াল।তার পরের ১৬.২ ওভারে এই দুজনের ব্যাটে যেন উঠল মরুঝড়। যাতে দিশেহারা দেখাচ্ছিল রাজস্থান বোলারদের। ওপেনিং জুটিতেই ১৮৩ রান করে ফেলেছিল এই দুই ডান হাতি। অনবদ্য শতরান করেন মায়াঙ্ক। পিছিয়ে ছিলেন না কেএল রাহুলও।
এদিন ৫৪ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে শেষমেষ থামেন রাহুল। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭টি চার ও ১ টি ছয়ে। ১২৭.৭ স্ট্রাইক রেটে গোটা ইনিংসে ব্যাট করেন তিনি। স্কোর বোর্ডে নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে ২২৩ রান তুলে ও ফেলেছিলেন তারা।
তারপর রাজস্থানের সন্জ্ঞু,স্মিথরা প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে স্বাভাবিকভাবেই রাহুলের ও মনে হয়েছিল এই ম্যাচ তারা জিতবেন হাসতে হাসতে। কিন্তু বাস্তবে হল তার উল্টোটাই। এই ব্যাপারে বলতে গিয়ে রাহুল জানান ‘ স্কোর বোর্ডে আমাদের খুব ভাল একটা স্কোর তোলার পরে আমাদের যা বোলিং লাইন আপ আছে তাতে আমরা আশাবাদী ছিলাম এই স্কোরকে আমরা ডিফেন্ড করতে পারব। বাটলার তাড়াতাড়ি প্যাভিলিয়নে ফেরার পরে স্মিথ, সন্জ্ঞু ফেরাতে কিছুটা নিশ্চিন্ত হয়ে গেছিলাম ১৮ বলে ৫১ রান করে এই ম্যাচ রাজস্থান বের করতে পারবে না।'
'কিন্তু আমরা ভুল প্রমাণিত হই। তেওয়াটিয়া অসাধারণ ইনিংস খেলে আমাদের ভুল প্রমাণ করে। এই ম্যাচটা আমাদের শিখিয়ে দিয়ে গেল ক্রিকেট খেলাতে কেন সবসময় মাটিতে পা রেখে চলতে হয়।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।