সামনে রয়েছে ২২৪ রানের বিরাট লক্ষ্যমাত্রা । ওপেনার জস বাটলারকে সামান্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরলেও স্মিথ এবং সঞ্জু স্যামসনের ইনিংস রাজস্থানকে লড়াইয়ে রেখেছিল। এই অবস্থায় শেষের দিকে আস্কিং রেট বাড়ছিল। সেই সময় খেলতে নেমে প্রথম ২০টি বল একেবারে দিশেহারা দেখাচ্ছিল রাহুল তেওয়াটিয়াকে। বাউন্ডারি মারা তো অনেক দূরের কথা কিভাবে সিঙ্গল নেবেন তাই বুঝে উঠতে পারছিলেন না হরিয়ানার এই ক্রিকেটার। তখন কার্যত একা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন স্যামসন।
এরমধ্যেই সঞ্জু স্যামসনকে আউট হয়ে ফিরতে হয়।ক্রিজে আসে নতুন ব্যাটসম্যান। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কিছুক্ষণ উইকেটে সময় কাটানো তেওয়াটিয়ার উপর চাপ বাড়ে ম্যাচে রাজস্থানে টিকিয়ে রাখার। ১৮-তম ওভারে ক্যারিবিয়ান পেসার শেল্ডন কট্রেলের বলে একটি দুটি নয় পাঁচ পাঁচটি ছয় মেরে কার্যত নিজেকে এবং দলকে কাদের কিনারা থেকে টেনে তুলে রাজস্থান রয়্যালসের জয় নিশ্চিত করলেন রাহুল তেওয়াটিয়া।
দলকে জেতানোর পরে তার বক্তব্য ছিল ‘এখন আমার ভাল লাগছে। প্রথম ২০টি বল আমি অত্যন্ত খারাপ খেলেছি।নেটে আমি ভালভাবেই ব্যাটে-বলে করছিলাম। তাই নিজের উপর বিশ্বাস ছিল।একটা ছয় মারার পরেই ছন্দ পাই। এক ওভারে পাঁচটা ছয় মারা দারুণ ব্যাপার। লেগ-স্পিনারের বলে ছয় মারার জন্য আমাকে পাঠিয়েছিলেন কোচ। আমি সেটা করতে পারিনি। শেষপর্যন্ত অন্য একজন বোলারের বলে ছয় মারতে সক্ষম হই।'
প্রসঙ্গত রাহুল তেওয়াটি আর এই ইনিংস এবং ম্যাচ শেষে তার বক্তব্য সংবাদ শিরোনামে এনে দিয়েছে ৩ বছর আগে করা তার এক টুইটকে। ১৫ ই জুলাই,২০১৭ এই টুইটটি করেছিলেন তেওয়াটিয়া। কি লিখেছিলেন সেখানে তিনি? সেই টুইটে তার বক্তব্য ছিল ' বিশ্বাস রাখুন। জীবনে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো ঠিক সেই সময় ঘটে যে সময়টা আমরা প্রায়শই হাল ছেড়ে দিয়ে থাকি।'
এই ম্যাচের ভিত্তিতে অর্থাৎ ৩০ বলে ৫১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে যে অসাধারণ জয় তিনি ছিনিয়ে আনলেন তার প্রেক্ষিতে বলা যেতেই পারে আজ থেকে তিন বছর আগে করা তার টুইট বাস্তব জীবনে কেমন অক্ষরে অক্ষরে সত্যি হয়ে গেল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।