আগের ম্যাচে ছয়ে নেমেছিলেন। শনিবার সেই ‘রাগ’ সুদে-আসলে পুষিয়ে নিলেন এবি ডি'ভিলিয়ার্স। একটা সময় রাজস্থান রয়্যালসের কিছুটা আশা জাগলেও তা বেশিদূর এগোতে দিলেন না। শেষ ওভারে জোফ্রা আর্চারকে ছক্কা মেরে রয়্যালস চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে আবারও জয়ের সরণিতে ফিরিয়ে আনলেন।
শনিবার দুপুরে দুবাইয়ে টসে জিতে ব্যাট নিয়েছিলেন রাজস্থান অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। রবিন উথাপ্পাকে ওপেনিংয়ে তুলে আনার ফল হাতেনাতে পায় রাজস্থান। উলটো দিকে বেন স্টোক যখন ঢিমেতালে খেলছিলেন, তখন ২২ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন প্রাক্তন নাইট। তবে স্টোকস ও সঞ্জু স্যামসন কম রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। প্রথম তিন ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর দলের হাল ধরেন স্মিথ ও জস বাটলার। শনিবার পাঁচে নামেন ইংরেজ উইকেট-কিপার। তাঁকে সেভাবে স্বচ্ছন্দে না দেখালেও দুরন্ত ইনিংস খেলেন স্মিথ। তাঁর ৩৬ বলে ৫৭ রানের সৌজন্যে ৩৬ বলে ৫৭ রান তোলে রাজস্থান। চার ওভারে ২৬ রান দিয়ে চার উইকেট নেন ক্রিস মরিস। ভালো বল করেন যুজবেন্দ্র চহালও। নিজের কোটো পূরণ করে দু'উইকেট নেন। খরচ করেন ৩৪ রান।
সেই রান তাড়া করতে নেমে খুব একটা ভালো শুরু হয়নি ব্যাঙ্গালোরের। বরং শুরুতেই ফেরেন অ্যারন ফিঞ্চ। তারপর ইনিংসের হাল ধরেন বিরাট কোহলি ও দেবদূত পাড়িক্কাল। কর্নাটকের ব্যাটসম্যান ভালো ছন্দে না থাকলেও কোহলিকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন। কিন্তু ১৩ তম ওভারের শেষ বলে সেই জুটি ভাঙেন রাহুল তেওটিয়া। পরের বলেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন বিরাট। আচমকাই ম্যাচে ভেসে ওঠে রাজস্থান। তবে ১৮ তম ওভার পর্যন্ত সেই আশা কিছুটাা জিইয়ে ছিল। কিন্তু ডি'ভিলিয়ার্স এসে সেটুকুও থাকতে দেননি। তাঁর কাজটা সহজ করে দেন স্মিথ। ১৯ তম ওভারে আর্চারের হাতে বল না দিয়ে জয়দেব উনাদকাটকে ডাকেন তিনি। স্মিথের সিদ্ধান্ত দু'হাত দিয়ে গ্রহণ করেন ডি'ভিলিয়ার্স। প্রথম তিন বলে তিন ছক্কা মারেন। শেষপর্যন্ত সেই ওভারে ২৫ রান ওঠে। শেষ ওভারে ন'রান দরকার ছিল। চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে ব্যাঙ্গালোরকে জিতিয়ে দেন ডি'ভিলিয়ার্স। একইসঙ্গে ২২ বলে ৫৫ রান করেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।