তিনি প্রতিভাবান, সেই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু কোনও কারণে নিজের প্রতিভার সুবিচার করতে পারেননি মণীশ পাণ্ডে। দেশে তো বটেই এমনকী তাঁর ঘরের রাজ্যেও আগে চলে গিয়েছেন লোকেশ রাহুল, মায়াঙ্ক আগরওয়ালরা। কিন্তু দুবাইয়ের মাঠে রাজস্থানের বিরুদ্ধে ফের জাত চেনালেন মণীশ। তাঁর দাপুটে ইনিংসের দৌলতে সহজেই রয়্যালসদের পর্যদুস্ত করে বহুমূল্য দুটি পয়েন্ট কুড়িয়ে নিল সানরাইজার্স।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার বিকল্প নেন ওয়ার্নার। রাজস্থানের হয়ে কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। সর্বোচ্চ করেন সঞ্জু ৩৬। অনেক বল নষ্ট করে স্টোকস করেন ৩০। স্টার্ট পেয়েও বড় রান করতে পারেননি উথাপ্পা (১৯), স্মিথ (১৯) ও রিয়ান (২০)। শেষে জোফরার ক্যামিওর দৌলতে ১৫৪ অবধি পৌঁছয় রাজস্থান। হায়দরাবাদের হয়ে দাগ কাটেন হোল্ডার। ৩ উইকেট নেন ৩৩ রান দিয়ে। কেন উইলিয়ামসনকে বসিয়ে তাঁকে খেলানোর যে বড় ঝুঁকি নিয়েছিলেন ওয়ার্নার, সেটির যোগ্য মর্যাদা দেন তিনি।
অন্যদিকে চেজ করতে নেমেই শুরুতেই বিপাকে পড়ে হায়দরাবাদ। জোফরার বলে চার রান করে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ওয়ার্নার। এরপর বোল্ড হন ব্যারিস্টো দশ রানে জোফরার বলে। ১৬ রানে দুই উইকেটে যখন হায়দরাবাদ ধুঁকছে তখন খেলার হাল ধরেন দুই ভারতীয় দলের ক্রিকেটার। আক্রমণাত্মক ইনিংসের মাধ্যমে রাজস্থান বোলারদের ব্যাকফুটে ফেলেন মণীশ পাণ্ডে। শেষ অবধি তিনি অপরাজিত থাকেন ৮৩ রানে মাত্র ৪৭ বলে। এতে ছিল আটটি বিশাল ছয় ও চারটি চার। ছটি চারের মাধ্যমে ৫১ বলে ৫২ করে মণীশকে যোগ্য সঙ্গত দেন অলরাউন্ডার বিজয় শংকর। এই দুই জন মিলে ১১ বল বাকি থাকতেই ১৫৬-২ করে জয় এনে দেন হায়দরাবাদের অনুকুলে। আর্চার ছাড়া অন্য কেউ রাজস্থানের হয়ে দাগ কাটতে পারেননি। তিনি ২১ রানে দুই উইকেট নেন। অন্য ম্যাচে ভালো বল করলেও এদিন অঙ্কিত ত্যাগী মাত্র উনিশ বলে ৪২ রান হজম করেছেন।
১০ ম্য়াচে আট পয়েন্ট পেয়ে এখন পয়েন্ট তালিকায় পঞ্চম স্থানে এসআরএইচ। অন্যদিকে ১১ ম্যাচে আট পয়েন্ট পেয়ে সপ্তম স্থানে রাজস্থান। এদিনের পর রয়্যালসের প্লে-অফের যাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ হয়ে গেল। চতুর্থ স্থানের জন্য মূলত লড়াই এখন কলকাতা, পঞ্জাব ও হায়দরাবাদের মধ্যে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।