সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। বোঝা গেল, বাদ পড়ে ভিতরে ভিতরে ফুঁসছিলেন বাংলার উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। পুনরায় মাঠে ফিরেই ব্যাট হাতে যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দিলেন ঋদ্ধি। বরং বলা ভালো যে, টিম ম্যানেজমেন্টকে যোগ্য জবাব দিলেন সাহা।
চলতি আইপিএল মরশুমে কেকেআরের বিরুদ্ধে একটিমাত্র ম্যাচের পারফর্ম্যান্সের নিরিখে ঋদ্ধিমানকে প্রথম একাদশ থেকে ছেঁটে ফেলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তাও সেই ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছিলেন, এমনটা বলা যাবে না কখনই। ৩১ বলে ৩০ রান করেছিলেন। টিম ম্যানেজমেন্টের মনে হয় স্লো ব্যাটিং করেছেন বাংলার উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। যদিও সেই ম্যাচে মণীশ পান্ডে ছাড়া আর কেউই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে পারেননি।
(আইপিএলের যাবতীয় আপডেট ও লাইভ স্কোর জানতে ক্লিক করুন এখানে।)
লকডাউনের দীর্ঘ ব্যবধান কাটিয়ে মাঠে ফিরেছেন সবাই। তার উপর ঋদ্ধিকে ফিরতে হয়েছে চোট সারিয়ে। দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকলে জড়তা কাটাতে একটু সময় লাগে, এটা বুঝতে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন হয় না। তাও ক্যাপ্টেন ওয়ার্নারের ইঙ্গিত ছিল ঋদ্ধির স্লো ব্যাটিংয়ের দিকে।
শেষমেশ দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে প্রিয়ম গর্গের জায়গায় দলে ফেরন ঋদ্ধিমান। ২৭ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করে সমালোচকদের চুপ করিয়ে দেন তিনি। ৫০-এর গণ্ডি ছোঁয়ার পথে ঋদ্ধি ৮টি বাউন্ডারি মারেন।
শেষমেশ ৪৫ বলে ৮৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে আউট হন ঋদ্ধিমান। ১২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন তিনি। যে রকম ব্যাট করছিলেন, তাতে নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে এলেন বলা যায়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।