আইপিএল নিলামে প্রচুর টাকা দাম উঠলে যে কোনও ক্রিকেটারের উপরে চাপ বাড়ে। এমনটাই উপলব্ধি কলকাতা নাইট রাইডার্সের অজি পেসার প্যাট কামিন্সের। তাঁর দাবি, অনেক টাকা দাম উঠেছে মানে এই নয় যে, বল হঠাৎ করে বেশি সুইং করতে শুরু করবে বা পিচে আরও বেশি ঘাস থাকবে। বাউন্ডারিও বড় হয়ে যাবে না। তবে প্রত্যাশা বাড়বে সন্দেহ নেই। সেই প্রত্যাশা পূরণের চাপ সামলানোই সবথেকে কঠিন হয়ে দাঁড়ায় ক্রিকেটারদের কাছে।
যদিও কামিন্স এটা মনে করেন যে, শুধুমাত্র আইপিএলের মতো সর্বোচ্চ আসরেই নয়, বরং যে কোনও পর্যায়ের পেশাদার ক্রিকেট খেলতে নামলেই চাপ টের পাওয়া যায়।
গত বছর আইপিএল নিলামে ১৫.৫০ কোটা টাকা দিয়ে প্যাট কামিন্সকে দলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেই নিলামে তিনিই ছিলেন সবথেকে দামি বিদেশি ক্রিকেটার। এমন বিশাল প্রাইস ট্যাগের চাপ টের পান তিনি। স্বাভাবিকভাবেই আইপিএল ২০২০-তে তাঁকে নিয়ে সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল পাহাড়প্রমাণ।
কেকেআরের ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করা ভিডিওয় কামিন্স বলেন, ‘যখনই আপনি কোথাও পেশাদার ক্রিকেট খেলেন, আপনার উপর চাপ থাকে। যদি একটা ম্যাচে ভালো খেলেন, তবে সেটা বজায় রাখার চাপ থাকে। যদি আপনি খারাপ খেলেন, তবে ভালো খেলার চাপ থাকে।’
দামি ক্রিকেটার হওয়ার চাপ প্রসঙ্গে কামিন্স বলেন, ‘আইপিএল নিলাম ক্রিকেটারদের উপর অন্য একটা চাপ তৈরি করে, যেটাকে সামলানোর চেষ্টা করতে হয়। প্রচুর টাকা দাম উঠেছে মানে এই নয় যে, বল হঠাৎ করে বেশি সুইং করবে অথবা পিচে আরও ঘাস থাকবে কিংবা বাউন্ডারি লাইন হঠাং বড় হয়ে যাবে।’
উল্লেখ্য, গত আইপিএলে নাইট রাইডার্সের হয়ে কামিন্স ১৪ ম্যাচে ১২টি উইকেট দখল করেন। ওভার প্রতি রান খরচ করেন ৭.৮৬।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।