কলকাতা নাইট রাইডার্সের দীর্ঘদিনের সঙ্গী রিঙ্কু সিং। তবে দলে সেই অর্থে কখনও গুরত্ব পাননি তিনি। উত্তরপ্রদেশের বাঁ-হাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানকে মূলত জল বাওয়ার কাজেই ব্যবহার করত কেকেআর। টুকিটাকি যতগুলি ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পেতেন রিঙ্কু, চেষ্টা করতেন নিজের ছাপ রাখার। তা সত্ত্বেও তাঁর আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে বরাবর উপেক্ষা করত।
ছবিটা বদলায় গত মরশুমে। কার্যত বাধ্য হয়ে রিঙ্কুকে মাঠে নামানোর পরে চমকে যায় নাইট টিম ম্যানেজমেন্ট। তারকাদের ভিড়ে চাপা পড়ে যাওয়া রিঙ্কু সিং মাঠে নামার সুযোগটাকে এমনভাবে কাজে লাগান, যার পরে তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকা সম্ভব হয়নি নাইট রাইডার্সের।
রিঙ্কু সিং যে আইপিএলে কেকেআরের সম্পদ হয়ে উঠতে পারেন, সেটা যর্থাথ বোঝা যায় গত মরশুমে। ২০২২ সালের আইপিএলে মোটে ৭টি ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পান রিঙ্কু সিং। তিনি ৩৪.৮০ গড়ে ১৭৪ রান সংগ্রহ করেন। ১৪৮.৭১ স্ট্রাইক-রেটে রান সংগ্রহ করেন রিঙ্কু।
স্বাভাবিকভাবেই নতুন মরশুমে রিঙ্কুকে সামনে রেখেই অঙ্ক কষতে শুরু করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএল ২০২৩-এর আগে কেকেআরের প্রস্তুতি শিবিরে ছেয়ে রয়েছেন তিনি। নিজেদের মধ্যে খেলা প্রস্তুতি ম্যাচে রানের ফুলঝুরি রিঙ্কুর ব্যাটে। নেটেও রীতিমতো ঝড় তুলছেন তিনি।
এহেন রিঙ্কু সিংয়ের একটি কাণ্ডের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে আনে নাইট রাইডার্স। অনুশীলনের সময় রিঙ্কু শটে ভেঙে যায় ক্যামেরা। একটি মজাদার ভিডিয়োয় রিঙ্কুর শটে ভাঙা ক্যামেরার স্বর্গবাস কামনা করে নাইট ফ্র্যাঞ্চাইজি। ভিডিয়োর ক্যাপশনে ব্যবহার করা বার্তাটিও নিতান্ত মজাদার। টুকরো টুকরো হয়েই ক্যামেরা যাতে বিশ্রামে থাকে, সেই কামনাই করেছে কেকেআর।
কলকাতা নাইট রাইডার্স গত মরশুমে ১৪টি লিগ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৬টিতে জয় পায়। তারা ৭ নম্বরে থেকে অভিযান শেষ করে। কেকেআরের হয়ে শ্রেয়স আইয়ার সব থেকে বেশি ৪০১ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়া নীতিশ রানা ৩৬১, আন্দ্রে রাসেল ৩৩৫, বেঙ্কটেশ আইয়ার ১৮২, স্যাম বিলিংস ১৬৯ ও অজিঙ্কা রাহানে ১৩৩ রান সংগ্রহ করেন।
গত মরশুমে আন্দ্রে রাসেল কেকেআরের হয়ে সব থেকে বেশি ১৭টি উইকেট নেন। এছাড়া উমেশ যাদব ১৬টি ও টিম সাউদি ১৪টি উইকেট পকেটে পোরেন। সুনীল নারিন ৯টি, প্যাট কামিন্স ৭টি ও বরুণ চক্রবর্তী ৬টি উইকেট নেন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup