বিরাট কোহলিকে ঘিরে বিতর্ক যে কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না নবীন-উল-হকের। সম্ভবত অদূর ভবিষ্যতেও এই বিতর্ক তাঁর পিছন ছাড়বে না। বিরাটের সঙ্গে ঝামেলার পর থেকেই নবীন বিভিন্ন শহরে খেলতে গেলেই তাঁকে নানা কটাক্ষ সহ্য করতে হচ্ছে। এ বার সেই তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেললেন কলকাতার দর্শকেরাও। কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম লখনউ সুপার জায়ান্টসের ম্যাচেও কোহলির নামে স্লোগান শুনতে হল নবীন উল হককে। স্পষ্টতই এটা নবীনকে কটাক্ষ করে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় দলে ডাক পাওয়ার কথা ভাবছিই না- প্লে-অফে উঠতে না পারায় মন খারাপ KKR-এর রিঙ্কুর
যদিও ঘটনাটি ঘটেছিল প্রায় তিন সপ্তাহ হয়ে গেল। তা সত্ত্বেও নবীন এখনও উপহাসের পাত্র হয়ে থেকে গিয়েছে। তার থেকে ছাড় পেলেন না কলকাতাতে এসেও। কলকাতায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের রান তাড়ার সময়ে দ্বিতীয় ওভারে ঘটনাটি ঘটেছিল, যখন এলএসজি অধিনায়ক ক্রুনাল পাণ্ডিয়া নতুন বল নবীনের হাতে তুলে দেন। তিনি অফের বাইরে একটি শর্টার ডেলিভারি দিয়ে শুরু করেছিলেন এবং কেকেআর ব্যাটার জেসন রয় বলটি মারতে ব্যর্থ হন। কিন্তু পরের বলটিতে জেস রয় মিড-অনের দিকে একটি বাউন্ডারি হাঁকান। এর পরের বলটিতেই আবার ৮১ মিটার লম্বা ছক্কা হাঁকান। আর চতুর্থ বলে ফের বাউন্ডারি মারেন।
সেই ওভারে, বিশেষ করে নবীন যখন মার খাচ্ছিলেন, তখন পুরো ইডেন জুড়ে ‘কোহলি’র নামে স্লোগান দিতে থাকে। পরে বাউন্ডারি লাইনের কাছে নবীন ফিল্ডিং করার সময়েও ঘটে একই ঘটনা। যেটা নবীন প্রথমে স্পোর্টিংলি নেন। পরে অবশ্য মুখ আঙুল দিয়ে চুপ করতে বলেন কোহলি ভক্তদের। প্রসঙ্গত কিছু দিন আগে এই সপ্তাহের শুরুতে হায়দরাবাদের দর্শকেরাও কোহলির নামে স্লোগান দিয়ে উত্যক্ত করেছিলেন নবীনকে।
নবীন ইডেন গার্ডেন্সের দর্শকদের কাছে তা ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন, যদিও তাঁর বোলিং দিয়ে নয়। ১৪তম ওভারে রহমানুল্লা গুরবাজকে আউট করেন যশ ঠাকুর। ওই ক্যাচটি যদিও রবি বিষ্ণোই ধরেন। তবে ক্যাচটি নেওয়ার জন্য দৌড় লাগিয়েছিলেন নবীনও। বিষ্ণোই ক্যাচ ধরার পরেই মুখে আঙুল দিয়ে দর্শকদের চুপ করতে বলেছিলেন নবীন।
গত মাসে আরসিবি-র বিরুদ্ধে জয়ের পরে এলএসজি-র পরামর্শদাতা গৌতম গম্ভীর যেমন চিন্নাস্বামীর উচ্ছ্বাসকে মুখে আঙুল দিয়ে স্তব্ধ করেছিলেন, নবীনও একই রকম ঘটনা ঘটালেন, তবে শুধুমাত্র কোহলির নামে স্লোগানের জবাবে।
নবীনও ১৫তম এবং ১৭তম ওভারে ভালো বল করেন। এবং যথাক্রমে মাত্র ছয় এবং পাঁচ রান দেন। কিন্তু তাঁর শেষ ওভারে অর্থাৎ নাইটদের ১৯তং ওভারে রিংকু সিং তাঁকে পিটিয়ে ২০ রান নেন।