আইপিএল ২০২০-র রেশ কাটতে না কাটতেই পরের আইপিএলের তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। আইপিএল ২০২১-এর নিলামের আগে সব দলই নিজেদের স্কোয়াড গুছিয়ে নেওয়ার দিকে নজর দিয়েছে। তারা ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ করেছে ইতিমধ্যেই। জানিয়ে দিয়েছে কোন ক্রিকেটারদের তারা দলে রাখতে চায় না।
ছেড়ে দেওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে স্টিভ স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জিমি নিশামের মতো আন্তর্জাতিক তারকারাও রয়েছেন। যদিও ১৮ ফেব্রুয়ারির মিলামে তাঁদের নতুন দল পেতে বিশেষ অসুবিধা হবে না বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। তবে চেন্নাইয়ের আইপিএল নিলামে পাঁচজন অভিজ্ঞ তারকা অবিক্রিত থেকে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। দেখে নেওয়া যাক কোন পাঁচজন ক্রিকেটারের নতুন কোনও দল খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
হরভজন সিং: ৪০ বছর বয়সী তারকা স্পিনার সারা বছর কোনওরকম ক্রিকেট না খেললেও চেন্নাই সুপার কিংস তাঁর অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিয়েছিল। এখন চেন্নাই মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় নতুন কোনও দল ভাজ্জিকে নিয়ে আগ্রহ দেখাবে কিনা সন্দেহ। তার উপর গত আইপিএলে তিনি ব্যক্তিগত কারণে মাঠেই নামেননি।
মুরলি বিজয়: তারকা ব্যাটসম্যানের শেষবার উল্লেখযোগ্য আইপিএল কেটেছে ২০১৬ সালে। সেবার পঞ্জাবের হয়ে ৪৫৩ রান করেছিলেন বিজয়। তবে তার পর থেকেই ক্রমশ মূল স্রোত থেকে হারিয়ে যেতে থাকেন তিনি। ২০১৭ সালে আইপিএলের কোনও ম্যাচে মাঠে নামেননি তিনি। পরের তিন বছরে যথাক্রমে ১টি, ২টি ও ৩টি ম্যাচ খেলেছেন। এবার মুস্তাক আলিও খেলেননি বিজয়। নতুন রক্তের খোঁজে থাকা ফ্র্যাঞ্চাইজিরা বিজয়ের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারে।
করুণ নায়ার: শেষ ১০টি টি-২০ ইনিংসে একটিও হাফ-সেঞ্চুরি করতে পারেননি করুণ নায়ার। মুস্তাক আলিকে তাঁর সর্বোচ্চ ২৭ রানের ইনিংস আসে জম্মু-কাশ্মীরের বিরুদ্ধে। আইপিএল ২০২০-তে ৪টি ম্যাচ খেলে ১৬ রান সংগ্রহ করেন নায়ার। তার আগের মরশুমে নায়ার মাত্র ১টি ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পান। ফর্ম না থাকায় আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিরা আপাতত নায়ারকে দনে নেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে।
জেসন রয়: গত দু'টি মরশুমে আইপিএলে মাঠে নামেননি আগ্রাসী ব্রিটিশ ওপেনার। ২০১৮ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ৫টি ম্যাচ খেলেন তিনি। রান করেছিলেন ১২০। সব দলই মোটামুটি বিদেশি ক্রিকেটারদের ধরে রাখায় জেসন অবিক্রিত থাকতে পারেন এবার।
কেদার যাদব: আইপিএল ২০২০-তে কেদার যাদবকে নিয়েই সবথেকে বেশি বিদ্রুপ করতে দেখা যায় নেটিজেনদের। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে দু'টি হাফ-সেঞ্চুরি করলেও তাঁর আইপিএল ফর্মের দিকে তাকিয়ে কোনও দল কেদারকে দলে নাও নিতে পারে।