ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাট হাতে বরাবর ধারাবাহিক অভিমন্যু ঈশ্বরন। একাটানা ব্যর্থ হতে দেখা না তাঁকে। হতে পারে উদ্ভাবনী শটে মারকাটারি ক্রিকেটে বিশ্বাসী নন। তবে তাই বলে এমন নয় যে, আগ্রাসী মেজাজে রান তুলতে পারেন না তিনি। যে কোনও ফর্ম্যাটে, যে কোনও দলের হয়েই মাঠে নামুন না কেন, সস্তায় সাজঘরে ফেরা মোটেও পছন্দ নয় ঈশ্বরনের। তাঁর সাম্প্রতিক ফর্ম চ্যালেঞ্জ জানাবে যে কোনও বিশ্বমানের ব্যাটসম্যানকে। তা সত্ত্বেও এবার আইপিএল নিলামে উপেক্ষিত থাকেন বাংলার তরুণ ওপেনার।
উপেক্ষার জবাব অবশ্য ব্যাট হাতেই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অভিমন্যু। নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলার রঞ্জি ম্য়াচের প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত শতরান করেন তিনি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে এটি ঈশ্বরনের টানা চতুর্থ শতরান। শেষ পাঁচটি ইনিংসে তিনি ১টি হাফ-সেঞ্চুরি ও ৪টি সেঞ্চুরি করলেন।
নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে রঞ্জির প্রথম ইনিংসে ১৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২১৮ বলে ১৭০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন অভিমন্যু। তার আগে ভারতীয়-এ দলের ক্যাপ্টেন হিসেবে বাংলাদেশ সফরে ২টি চার দিনের বেসরকারি টেস্টে মাঠে নামেন ঈশ্বরন। কক্সবাজারের প্রথম ম্যাচে ১১টি টার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৫৫ বলে ১৪১ রান করেন তিনি। পরে সিলেটের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৪৮ বলে ১৫৭ রান করেন অভিমন্যু।
বাংলাদেশ সফরে উড়ে যাওয়ার আগে রাঁচিতে বিজয় হাজারে ট্রফির ম্যাচে সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১২৩ বলে ১২২ রান করেন অভিমন্যু ঈশ্বরন। রেলওয়েজের বিরুদ্ধে তার আগের ম্যাচে তিনি ৯টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৯ বলে ৫০ রান করেন।
অভিমন্যু ঈশ্বরনের শেষ ৫টি ইনিংস:-
বনাম নাগাল্যান্ড (রঞ্জি ট্রফি): ১৭০
বনাম বাংলাদেশ-এ (বেসরকারি টেস্ট): ১৫৭
বনাম বাংলাদেশ-এ (বেসরকারি টেস্ট): ১৪১
বনাম সার্ভিসেস (বিজয় হাজারে ট্রফি): ১২২
বনাম রেলওয়েজ (বিজয় হাজারে ট্রফি): ৫০
অভিমন্যু ঈশ্বরন বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতীয়-এ দলের অন্দরমহলে বিচরণ করেন। বিদেশ সফরে ভারতীয় টেস্ট দলের স্ট্যান্ড-বাই হিসেবেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। ইংল্যান্ড সফরে এবং গত বাংলাদেশ সফরে ভারতের টেস্ট স্কোয়াডে জায়গাও করে নেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার সুযোগ হয়নি তাঁর। ধারাবাহিকভাবে সফল হন বলেই ভারতীয়-এ দলের ক্যাপ্টেন্সিও তুলে দেওয়া হয় বাংলার ওপেনারের হাতে।