নো-বল দেননি থার্ড আম্পায়ার। তার জন্য মাঠে দুই ব্যাটসম্যান এনরিখ ক্লাসেন ও আব্দুল সামাদের ক্ষোভ প্রকাশের ঘটনা তবু না হয় মেনে নেওয়া যায়। তবে উপ্পলের গ্যালারিতে দর্শকরা যে রকম অভব্যতা করেন লখনউ শিবিরের সঙ্গে, তা নিতান্ত দৃষ্টিকটু সন্দেহ নেই। এক্ষেত্রে লখনউ সুপার জায়ান্টসের কোনও দোষ না থাকা সত্ত্বেও দর্শকদের বিদ্রুপ সহ্য করতে হয় গৌতম গম্ভীরদের।
আরও গুরুতর বিষয় হল, গ্যালারি থেকে লখনউয়ের ডাগ-আউট লক্ষ্য় করে কিছু ছোঁড়া হয়, যার জন্য ম্যাচ থমকে থাকে বেশ কিছুক্ষণের জন্য। গম্ভীর তথা লখনউ শিবিরকে উদ্দেশ্য করে কোহলি-কোহলি চিৎকারও করতে থাকেন দর্শকরা।
উপ্পলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রথম ইনিংসের ১৮.৩ ওভারে হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যান আব্দুল সামাদকে হাই ফুলটস বল করেন লখনউয়ের পেসার আবেশ খান। ফিল্ড আম্পায়ার নো-বল ডাকেন। তবে লখনউ সুপার জায়ান্টস রিভিউয়ের আবেদন জানায়।
টেলিভিশন রি-প্লে দেখে অনেকেরই মনে হয় যে, সেটি যথার্থই নো-বল ছিল। তবে তৃতীয় আম্পায়ার নো-বলের সিদ্ধান্ত নাকচ করে সেটিকে ফেয়ার ডেলিভারি বলে ঘোষণা করেন। ফলে দুই ব্যাটসম্যান প্রান্ত বদল করায় সেই বলে শুধু মাত্র ১ রান পায় সানরাইজার্স। ব্যাটসম্যান সামাদ মাথা নেড়ে তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেন। নন-স্ট্রাইকার প্রান্ত থেকে স্ট্রাইকার প্রান্তে যাওয়া ক্লাসেন স্কোয়ার-লেগ আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন।
পরের বলে চার মারেন ক্লাসেন। তবে তার পরেই লখনউয়ের কোচ-সহ সাপোর্ট স্টাফদের মাঠে নেমে পড়তে দেখা যায়। চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় লখনউ শিবিরকে। পরে জানা যায় যে, তৃতীয় আম্পায়ার নো-বল খারিজ করার পরে রাগে গ্যালারি থেকে হায়দরাবাদ সমর্থকরা কিছু ছুঁড়েছেন লখনউয়ের ডাগ-আউটে। ম্যাচ কিছুক্ষণের জন্য থমকে থাকে। নিরাপত্তারক্ষীরা গ্যালারিতে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার পরে ম্যাচ পুনরা শুরু হয়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।