আইপিএলে চলছে এখন শেষ পর্যায়ের ম্য়াচ। ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে প্রথম কোয়ালিফায়ার ও এলিমিনেটর ম্যাচ। এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হয় লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। চেন্নাইয়ের পিচ যে খুব ধীরে গতির তা আগেই বুঝে গিয়েছে দুই দল। তাই মুম্বই টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান তোলে মুম্বই। তবে লখনউয়ের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত বোলিং করে নবীন-উল-হক। তিনি মাত্র ৩৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। নবীনের তুলে নেওয়া চার উইকেট দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর এই লড়াই দলকে জেতাতে পারেনি।
অন্যদিকে মুম্বই এই ম্যাচে অসাধারণ বোলিং ও ফিল্ডিং করে। নবীন-উল-হকের মতোই মুম্বইয়ের বোলার আকাশ মাধওয়াল মাত্র ৩.৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৫ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নেন। আর এটাই ছিল মুম্বাইয়ের জয়ের টার্নিং পয়েন্ট। প্রাক্তন ভারতীয় প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী চেয়েছিলেন, এই ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স নবীনের মতো একজন পেসারকে তুলে ধরুক। কারণ এই ম্যাচে ম্যাচে ক্রুণাল পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন দলে আফগানিস্তানের পেসার তাদের হয়ে প্রধান ভূমিকা পালন করেন।
১৮৩ রানের টার্গেট নিয়ে লখনউ যখন ব্যাট করতে নামে তখন পুরোপুরি তৈরি ছিল মুম্বইয়ের বোলাররা। বিশেষ করে তৈরি ছিল মুম্বইয়ের পেসাররা। প্রথম ওভারেই বল করতে আসেন আকাশ। তিনি প্রেরক মানকড়কে প্রথম ওভারেই প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে দেন। প্রথমেই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সুপার জায়ান্টসরা। তারপর তিনি আবার দশম তম ওভারে যখন বল করতে আসেন, তখন আয়ুশ বাদোনিকে আউট করে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখিয়ে দেন। আর তারপরেই আউট করেন নিকোলাস পুরানকে। পরপর উইকেট পড়াতে লখনউ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
পরপর দুটি বলে দুই উইকেট পড়তে দেখে সুপার জায়ান্টসদের মেন্টর গৌতম গম্ভীরও অবাক হয়ে যান। আকাশ মাধওয়াল মুম্বইয়ের হয়ে গত মরশুম থেকে খেলছেন। তাকে ২০ লক্ষ টাকায় কেনে রোহিত শর্মার দল। ২৮ বছর বয়সী এই তরুণ পেসার মুম্বইয়ের হয়ে ৭টি ম্যাচে ১৩টি উইকেট নিয়েছেন। এলিমিনেটর ম্যাচে অসাধারণ বোলিংয়ের জন্য তিনি ম্যাচের সেরা হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছেন। ম্যাচের পরে মাধওয়াল বলেন, 'আমি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু ক্রিকেট আমার প্যাশন ছিল। ২০১৮ সাল থেকে আমি অপেক্ষা করতাম এই দিনটার জন্য। এই সুযোগের জন্য আমি অনেক অনুশীলনও করেছি। আমরা যখন নেটে অনুশীলন করি তখনও আমি আমার সেরাটা দিয়েই অনুশীলন করি। মুম্বাইয়ের হয়ে পরবর্তী ম্যাচে আরও ভালো করে খেলার চেষ্টা করব। আশা করছি আমরাই চ্যাম্পিয়ন হব। তবে এই এলিমিনেটর ম্যাচে নিকোলাস পুরাণের উইকেট আমার কাছে সব থেকে আনন্দদায়ক ছিল।'