আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম বল করার রেকর্ড গড়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস নামে পরিচিত এই বোলার ২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘণ্টায় ১৬১.৩ কিমি গতিতে দ্রুততম বল করার রেকর্ড করেছিলেন। আখতারই প্রথম বোলার যিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতি ঘণ্টায় ১০০ মাইল গতি অতিক্রম করেছেন। এত গতিতে বল করতে অনেক ঘাম ঝরিয়েছেন আখতার। একটা সময়ে শোয়েব আখতার এই গতি পাওয়ার জন্য চার-পাঁচ মাইল পর্যন্ত ট্রাক টেনেছিলেন। সম্প্রতি শোয়েব আখতার নিজেই এ কথা জানিয়েছেন।
স্পোর্টসকিডার সঙ্গে কথা বলার সময় পাকিস্তানের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার বলেন, ‘বোলার হিসাবে আপনি যখন ১৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ছুঁয়ে ফেলবেন তখন মনে রাখবেন যে আপনাকে এখনও আরও পাঁচ কিমি ঘণ্টায় বল করতে হবে। তবে গতি বাড়াতে বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। ১০০ মাইল প্রতি ঘণ্টার রেকর্ড ভাঙার আগে আমি ঘণ্টায় ১৫৭-১৫৮ কিমি গতিতে বল করতাম। কিন্তু আমি ১৬০-এ পৌঁছতে পারতাম না। আমি একটু চিন্তিত ছিলাম কেন এটা হচ্ছে না।’
এর সঙ্গে নিজের বিশেষ প্রশিক্ষণের কথাও জানালেন শোয়েব আখতার। প্রশিক্ষণের মধ্যে পিচে অনুশীলনের আগের রাতে যানবাহন এবং ট্রাক টানা এবং পুরানো এবং জীর্ণ বল দিয়ে বোলিং করতেন তিনি। আখতার বলেন, ‘আমি প্রথমে টায়ার নিয়ে দৌড়াতে শুরু করি। শীঘ্রই আমি বুঝতে পারি যে এটি হালকা। এর পরে আমি আমার কাঁধ দিয়ে ছোট গাড়ি টেনে নিলাম। তারপর আমি অনুভব করলাম যে গাড়িগুলি খুব ছোট, তাই আমি ট্রাক টানা শুরু করলাম। আমি ৪-৫ মাইল পর্যন্ত ট্রাক টেনে নিয়ে যেতাম। আমি যখন বল করতাম তখন বল ১৪২-১৪৩ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে যেত। কিন্তু আমার লক্ষ্য ছিল ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। তখন আমার পেশী খুব ভালো অবস্থায় ছিল এবং আমি পুরানো জীর্ণ বল দিয়ে বোলিং শুরু করি। আমার লক্ষ্য ছিল সেই পুরনো বলগুলো দিয়ে উইকেটে আঘাত করা। ১৫০ কিলোমিটার গতিতে পৌঁছতে আমার দুই মাস লেগেছে।’ আখতার আরও বলেন, বিশ্বকাপে তিনি যখন নেটে বল করতেন, তখন ব্যাটসম্যানরা তাকে ভয় পেতেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।