প্রথম কোয়ালিফায়ারে ফর্মে ফেরার ঝলক দেখিয়েছিলেন। এবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) বিরুদ্ধে ফাইনালের আগে নেটে একের পর এক ছক্কা মারলেন চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেইসঙ্গে মারলেন হেলিকপ্টার শট।
ইনস্টাগ্রামে চেন্নাইয়ের তরফে অনুশীলনের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। তাতে চেন্নাই খেলায়াড়দের বেশ আক্রমণাত্মক ভঙ্গিমায় দেখা গিয়েছে। একেবারে পুরনো মেজাজে ছিলেন। কখনও ক্রিজে দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়েই ছক্কা মারলেন। কখনও আবার স্টেপ-আউট করে স্রেফ বোলারকে নিয়ে ছেলেখেলা করলেন। শুধু লেগের দিকে নয়, অফের দিকেও মাঠ চিরে বাউন্ডারিতে পৌঁছে যায় ধোনির শট। তারইমধ্যে ব্যাট থেকে আসে ট্রেডমার্ক হেলিকপ্টার শটও। যে শট কার্যত হেলিকপ্টারের মতোই মাঠের বাইরে চলে যায়।
এমনিতে এবারের আইপিএলের গ্রুপ পর্যায়ে একেবারে ফর্মে ছিলেন না ধোনি। ১৪ ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ৯৬ রান। হাঁকিয়েছিলেন মাত্র ন'টি চার এবং দুটি ছক্কা। স্ট্রাইক রেট কোনওক্রমে ১০০ পার করেছিল। যা ধোনির মতো ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য। বিশেষত ধোনি-সুলভ ফর্ম তো একেবারেই নয়। তাঁর বয়স এবং ফর্ম নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। তবে সেই প্রশ্নের সময় অনেকেই ভুলে গিয়েছেন, যাঁর বিষয়ে তাঁরা বলছেন, তাঁর নাম আসলে ধোনি। তাই যে কোনও সময় তিনি জ্বলে উঠতে পারেন। হয়েছিল ঠিক সেটাই। প্রথম কোয়ালিফায়ারে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে মাত্র ছ'বলে ১৮ রানে অপরাজিত করেছিলেন। হাঁকিয়েছিলেন তিনটি চার এবং একটি ছক্কা। চার মেরেই জিতিয়েছিলেন দলকে।
সেই ‘ফিনিশার’ ধোনির প্রত্যাবর্তনে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছিল টুইটার। এক নেটিজেন বলেছিলেন, 'একেবারে নিজস্ব ভঙ্গিমায় হেটার্সদের (বিরোধীদের) খতম করে দিলেন।' এক নেটিজেন বলেছিলেনন, 'পুরনো ঢঙে খেলা শেষ করলেন। নামটা মনে রাখবেন - মহেন্দ্র সিং ধোনি। অনেকেই তাঁকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিলেন। আমি-সহ অনেক সমর্থকও ভরসা হারিয়ে ফেলেছিলেন। এটা তাঁদের সকলের জন্য। একজন রাজা সর্বদা রাজাই থাকেন।' ধোনির প্রশংসায় মেতে উঠেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।