২০২৩ আইপিএলে সবচেয়ে সফল স্পিন আক্রমণের তালিকায় কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস যথাক্রমে ৩৭ এবং ৩৫ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে। রাজস্থান রয়্যালস রয়েছে শীর্ষে। তাদের স্পিনাররা মোট ৪০ উইকেট নিয়েছেন। মোদ্দা কথা, সুপার সানডে-তে দুই দলই স্পিনের জাদুতেই মাত দিতে চাইবে একে অপরকে।
তবে যে বিষয়টির জন্য নাইটদের চেয়ে এগিয়ে থাকবে চেন্নাই, সেটা হল তাদের ব্যাটিংয়ে গভীরতা। টপ অর্ডারের দুরন্ত পারফরম্যান্স এবং ধারাবাহিকতা। এই তিনটে জিনিসেরই অভাব রয়েছে কেকেআর টিমে। নাইটদের টপ অর্ডারের হতশ্রী দশা। কোনও ধারাবাহিকতাই নেই ব্যাটারদের। পুরো মরশুমে ওপেনিং জুটিই তৈরি করতে পারেনি নাইট রাইডার্স। এখন কেকেআর-এর হয়ে জেসন রয় এবং রহমানুল্লা গুরবাজ ওপেন করলেও, তারা জুটিতে এখনও সে ভাবে সফল হতে পারেননি।
চেন্নাইয়ের পিচে সাধারণত স্পিনাররাই সুবিধে পায়। তাই বরুণ চক্রবর্তী, সুয়াশ শর্মা, সুনীল নারিনরা নাইটদের অস্ত্র হবে। কিন্তু এ কথা ভুললে চলবে না, সিএসকে-র ব্যাটিং বেশ শক্তিশালী। তাদের দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় এবং ডেভন কনওয়ে দুরন্ত ছন্দ রয়েছেন। এই মরশুমে তারা জুুটিতে দু'টি হাফসেঞ্চুরি এবং একটি সেঞ্চুরি করেছেন। অজিঙ্কা রাহানেও আক্রমণাত্মক মেজাজে সিএসকে-কে ভরসা জুগিয়েছেন। শিবম দুবের স্পিনের বিরুদ্ধে স্ট্রাইকরেট কিন্তু ভয় ধরাবে বরুণদের। দুবের স্পিনারদের বিরুদ্ধে স্ট্রাইকরেট ১৭৭.১০।
আরও পড়ুন: DC-র প্লে অফের স্বপ্ন শেষ, SRH-ও চাপে, ভেসে থাকল LSG, PBKS, KKR-এর হাল কী?
কেকেআর এই মরশুমে মূলত জয়ের জন্য তাদের মিডল-অর্ডারের উপরই বেশি ভরসা করছে। শেষের দিকে রান উঠছে তাদের। তবে সেটা কতটা সিএসকে-র বিরুদ্ধেও কার্যকর হবে, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। কারণ ডেথ-ওভারে চেন্নাইয়ের মাথিশা পাথিরানা একেবারে আগুনে মেজাজে থাকছেন। তিনি এই আইপিএলের শেষের দিকে প্রতি ওভারে গড়ে মাত্র ৮.২৮ রান দিয়েছেন। পাশাপাশি আট ইনিংসে ১২টি উইকেট নিয়েছেন।
প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে জিততেই হবে। তা না হলে সব আশা শেষ। আর সিএসকে জিতলে প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের। স্বাভাবিক ভাবেই সিংহের ডেরায় নাইটদের সামনে অগ্নিপরীক্ষা।
আরও পড়ুন: লিভিংস্টোনের অফস্টাম্প উড়িয়ে ফ্লাইং কিস, কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে ইশান্তের- ভিডিয়ো
এ দিকে চেন্নাইয়ের শিবম দুবের আঙুলে হালকা চোট রয়েছে। হয়তো ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে তাঁকে ব্যবহার করা হতে পারে। প্রথম সারির বোলারদের একজনের সঙ্গে তাঁকে অদলবদল করা হতে পারে। বেন স্টোকস নির্বাচনের জন্য উপলব্ধ। তবে আপাতত চার বিদেশির স্লট পূর্ণ।
কেকেআর টিম অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তাদের স্পিন ত্রয়ী সুনীল নারিন, বরুণ চক্রবর্তী এবং সুয়াশ শর্মাকে দলে রাখবে। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে অনুকূল রায়ের সঙ্গে ব্যাটারদের কাউকে একজন অদলবদল করা হতে পারে।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার সহ চেন্নাই সুপার কিংসের সম্ভাব্য দ্বাদশ: ডেভন কনওয়ে, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, অজিঙ্কা রাহানে, অম্বাতি রায়ডু, শিবম দুবে, মইন আলি, রবীন্দ্র জাদেজা, এমএস ধোনি (অধিনায়ক, উইকেটকিপার), দীপক চাহার, মহেশ থিকশানা, মাথিশা পাথিরানা, তুষার দেশপাণ্ডে।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার সহ কলকাতা নাইট রাইডার্সের সম্ভাব্য দ্বাদশ: জেসন রয়, রাহমানুল্লা গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), বেঙ্কটেশ আইয়ার, নীতীশ রানা, আন্দ্রে রাসেল, রিঙ্কু সিং, শার্দুল ঠাকুর, সুনীল নারিন, হর্ষিত রানা, বৈভব অরোরা, বরুণ চক্রবর্তী, সুয়াশ শর্মা।