শুরুতেই দুর্ভাগ্যের শিকার হয় চেন্নাই সুপার কিংস। প্রথম উইকেটই তাদের হারাতে হয় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য। ডেভন কনওয়ে আউটই ছিলেন না। লেগ স্টাম্প ছেড়ে বল বের হয়ে গিয়েছিল। তবু তাঁকে সাজঘরে ফিরতে হয়।
আসলে চেন্নাই সুপার কিংসের ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই বোলার ড্যানিয়েল স্যামস এলবিডব্লিউ-এর জন্য আবেদন জানালে আউট দিয়ে দেন ফিল্ড আম্পায়ার। আর সেই সময়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ডিআরএস নিতে পারেননি কনওয়ে। যার নিটফল, আউট না হওয়া সত্ত্বেও সাজঘরে ফিরতে হয় কনওয়েকে। দুর্ভাগ্যের শিকার হন তিনি।
নন-স্ট্রাইকার রুতুরাজ গায়কোয়াড় আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা এই নিয়ে কাটাকাটি শুরু করেন। এমন কী মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মাও সেই ঝামেলায় যোগ দেন। রিপ্লেতে দেখা যায় যে, বলটি লেগ স্টাম্প ছেড়ে বের হয়ে যাচ্ছিল। এবং ডিআরএস প্রযুক্তি উপলব্ধ থাকলে কনওয়ে আউট হতেন না।
ডিআরএস নাটক এখানেই শেষ হয়নি। পরের ওভারে, রবিন উথাপ্পাকে এলবিডব্লিউ করেন জসপ্রীত বুমরাহ। এবং আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফানি কোনও দ্বিধা ছাড়াই আঙুল তুলে দেন। উথাপ্পাও একটি রিভিউ নিতে চেয়েছিলেন কিন্তু প্রযুক্তি তখনও চালু হয়নি বলে তিনি ডিআরএস নিতে পারেননি।
তবে রিপ্লেতে দেখা যায় যে, ফিল্ড আম্পায়ার এ বার সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন। এবং উথাপ্পা ডিআরএস নিলেও আউট হয়ে যেতেন। ১০ বল হয়ে যাওয়ার পরেই ডিআরএস প্রযুক্তি চালু হয়েছিল। তবে এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
আইপিএলের মঞ্চে এই ধরনের অপেশাদারিত্ব নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে চলেছে। ওয়াংখেড়ের মতো স্টেডিয়ামে কী ভাবে আইপিএলের মতো হাই প্রোফাইল ম্যাচ চলাকালীন বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়, তা নিয়েই চলছে তীব্র সমালোচনা। নেটপাড়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
কনওয়ে আউট হওয়ার পরেই যেন চেন্নাইয়ের সব কিছুই এলোমেলো হয়ে যায়। একের পর এক উইকেট হারাতে শুরু করে সিএসকে। প্রথম ওভারেই মইন আলিরও উইকেট হারায় তারা। দ্বিতীয় ওভারে আবার আউট হন রবিন উথাপ্পা। পাওয়ার প্লে-তে ৩২ রান করে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে চেন্নাই। তবে এই উইকেট হারানোর ধারাটা শুরু হয়েছিল কনওয়ের দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্তের হাত ধরে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।