কথায় আছে 'মর্নিং শোজ দ্য ডে'। চেন্নাই সুপার কিংসের মুকেশ চৌধরী বোধহয় সেই সকালটাই দেখিয়ে দিল চেন্নাইকে। ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ের ভোরের আভার বিচ্ছুরণ ঘটল চেন্নাইয়ের ২৫ বছরের তরুণের হাত ধরে।
বৃহস্পতিবার টসে জিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ব্যাট করতে পাঠায় সিএসকে। আর প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মুম্বই শিবিরে যেন বড় দু'টি বিস্ফোরণ ঘটে যায়। আর সেটা ঘটান চেন্নাইয়ের মুকেশ। প্রথমে ওভারের দ্বিতীয় বলে রোহিত শর্মাকে সাজঘরে ফেরান তিনি। তাও রোহিত ২ বল খেলে ০ করে আউট হন। আর ওভারের পঞ্চম বলে বোল্ড করেন ইশান কিষাণকে। প্রথম বলেই বোল্ড হন ইশান।
শূন্য রানে মুম্বইয়ের দুই তারকা ব্যাটারকে ফিরিয়েই নতুন নজির গড়ে ফেলেন মুকেশ। প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে তিনি প্রথম ওভারে ২ ওপেনারকেই শূন্যতে আউট করলেন। শুধু প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে নয়, প্রথম আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবেও এই নজির গড়েন তিনি।
মুকেশের আগে ২০০৮ সালে চেন্নাই সুপাক কিংসের বিরুদ্ধে সোহেল তানভির এই নজির গড়েছিলেন। তিনিই প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই অনন্য নজির গড়েছিলেন। এর পর ২০০৯ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে রায়ান হ্যারিস এই নজির গড়েছিলেন। ফের ১৩ বছর পর একই নজির গড়লেন মুকেশ।
তবে এতেই কিন্তু খিদে কমনি মুকেশের। তিনি তৃতীয় ওভারের শেষ বলে ডেওয়াল্ড ব্রেভিসকেও আউট করেন। বেবি এবি-ও এ দিন ব্যর্থ হন। ৭ বল খেলে মাত্র ৪ রান করেন তিনি। ৩ ওভার বল করে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন মুকেশ।
এ দিন মুকেশের দাপটেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটিং অর্ডারের কোমর ভেঙে যায়। তবে তিলক বর্মার (৪৩ বলে ৫১) লড়াইয়ের হাত ধরে ভদ্রস্থ জায়াগায় পৌঁছয় মুম্বইয়ের স্কোর। তারা নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান করেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।