নিয়মের সামান্য হেরফের, আর তাতেই বদলে গেল ব্যাটসম্যানের শিখর ধাওয়ানের ভাগ্য। ক্রিকেট খেলায় সব টুর্নামেন্ট, সব দেশ, সব পরিস্থিতি নিয়ম একই। কিন্তু এ বারের আইপিএলের কমিটি আইসিসির একটা নিয়মকে অগ্রাহ্য করেই টু্র্নামেন্ট আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আর তাতেই লাভবান হলেন ধাওয়ান।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে নিজেদের মরশুমের চতুর্থ ম্যাচে ১৩৮ রান তাড়া করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামেন দিল্লি ক্যাপিটালস দলের ওপেনার ধাওয়ান ও পৃথ্বী শ। কিন্তু ম্যাচের প্রথম ওভারের শেষ বলে চার রানের মাথায় ট্রেন্ট বোল্টের সুইংয়ে পরাস্ত হন এ মরশুমের আইপিএলের এখনও অবধি সর্বোচ্চ রানের মালিক ধাওয়ান। ব্যাটের টপ এজে লেগে হাওয়ায় উঠে যায় বল। কভারে ফিল্ডিং করা হার্দিক পান্ডিয়া দারুণভাবে ঝাপিয়ে বলটিকে তালুবন্দি করার চেষ্টা করেন। মাটির কাছাকাছি বল থাকায় সিদ্ধান্তটি তৃতীয় আম্পায়রের কাছে পাঠানো হয়।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী এমন অবস্থায় মাঠে উপস্থিত আম্পায়াররা সফ্ট সিগন্যাল বা আউট সম্পর্কে তাদের মতামত জানান। তৃতীয় আম্পায়র যদি বারংবার রিপ্লে দেখেও কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পারেন, তবে সফ্ট সিগন্যালই অগ্রাধিকার পায়। কিন্তু আইপিএলে আম্পায়রদের সফট সিগন্যালের কোন বালাই নেই। কিছুদিন আগে সমাপ্ত হওয়া ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজে বারংবার কাঠগোড়ায় দাঁড় করানো হয় এই সফ্ট সিগন্যালকে। বিশেষজ্ঞদের মতে মাঠে উপস্থিত আম্পায়াররা নির্ণয় নিতে ধন্ধে থাকলে তবেই তৃতীয় আম্পায়রকে সিদ্ধান্ত পাঠান। এমন অবস্থায় তৃতীয় আম্পায়ারের রিপ্লে দেখেও সন্দেহ থাকলে মাঠে এক ঝলক দেখে সিদ্ধান্ত জানানো আম্পায়াররা সঠিক না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
এই বিতর্ক থেরে দূরে থাকতেই আইপিএলে রাখা হয়নি এমন কোনও নিয়ম। কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কোনরকম সফ্ট সিগন্যাল দেওয়া চলবে না। এর ফলে তৃতীয় আম্পায়ার নির্দিষ্ট কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারায় জীবনদান পান ধাওয়ান। তবে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে কিন্তু এমনটা হত না।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।