একদলের সমর্থকরা অন্য দলের খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে গ্যালারি থেকে কটুক্তি করছেন, এমন ছবি ক্রিকেটের মাঠে হামেশাই দেখা যায়। তবে দর্শকরা সমবেতভাবে আম্পায়ারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন, এমনটা সচরাচর দেখা যায় না। ঠিক তেমনটাই ঘটল ওয়াংখেড়েতে।
যে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম ‘সচিন-সচিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠত, সেখানে শোনা গেল ‘চিটার-চিটার’ আওয়াজ। এক্ষেত্রে আম্পায়ার নীতিন মেননকেই প্রতারক হিসেবে চিহ্নিত করেন দর্শকরা।
আসলে দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচের একেবারে শেষ ওভারে একটি নো-বলের দাবিকে কেন্দ্র করে ঝামেলা দেখা দেয়। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৩৬ রান দরকার ছিল দিল্লির। রোভম্যান পাওয়েল প্রথম তিনটি বলে পরপর তিনটি ছক্কা মারেন। তৃতীয় বলটি ছিল ফুলটস। দিল্লি শিবিরের মনে হয় ওবেদ ম্যাকয়ের বলটি ব্যাটসম্যানের কোমরের উচ্চতার উপরে ছিল। তাই তারা নো বলের দাবি জানাতে থাকে।
বাস্তবিকই টেলিভিশন রিপ্লে দেখে মনে হয় বলটি পাওয়েলের কোমরের উচ্চতার উপরে ছিল। তবে আম্পায়ার নীতিন মেনন বলটিকে আইনসিদ্ধ বলেই রায় দেন। ব্যাটসম্যান পাওয়েল প্রথমে তর্ক জোড়েন আম্পায়ারের সঙ্গে। পরে দিল্লি ক্যাপিটালসের সহকারী কোচ প্রবীণ আমরে মাঠে নেমে পড়েন। তিনিও আম্পায়ারের সঙ্গে বচসায় জড়ান। এত আবেদন সত্ত্বেও অম্পায়ার মেনন করও কথায় কান দেননি। তৃতীয় আম্পায়ারও এক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করেননি।
ঝামেলার পরে খেলা শুরু হলে ওয়াংখেড়ের গ্যালারি থেকে দর্শকরা চিটার-চিটার আওয়াজ তোলেন। শেষমেশ দিল্লিকে ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হয়।