পরের বছর আইপিএলের আগে মেগা নিলাম হতে চলেছে। সেই নিলামেই গোটা দলের বৈচিত্র বদলে যেতে পারে। এখন থেকেই কাকে দলে রাখা হবে না হবে, কে কোন দলে যাবেন সেই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে নিলামের জন্য এখনও বেশ কিছুটা সময় বাকি থাকলেও তাঁকে যে ধরে রাখতে দিল্লি ক্যাপিটালস আগ্রহী নয়, তা আগেভাগেই জানিয়ে দিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
২০১৯ সালে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব (বর্তমানে পঞ্জাব কিংস) থেকে জগদীশা সুচিথের সঙ্গে অদল বদল করে অশ্বিনকে দলে নেয় দিল্লি। রাজধানীর ফ্রাঞ্চাইজির হয়ে ২৮ ম্যাচে ৭.৫৫-র ইকোনমিতে ২০টি উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন। তবে তাঁকে রিটেন করা হলে তিনি আগে থেকেই তা জানতেন বলে দাবি অশ্বিনের। পাশপাশি শ্রেয়স আইয়ারও যে দিল্লিতে থাকছেন না, তাও স্পষ্ট করে দেন অশ্বিন। আইপিএল নিলামের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন বলেন, ‘শ্রেয়স হয়তো (ফ্রাঞ্চাইজিতে) থাকবে না আমি যতদূর জানি, আমিও থাকব না। তাই অন্য লোকেরা দলে আসবে। আমাকে রিটেন করা হলে আমি তা আগে থেকেই জানতাম।’
শ্রেয়স আইয়ার ২০১৫ সাল থেকে দীর্ঘদিন ধরে দিল্লির হয়ে খেলছেন। ৮৬ ইনিংসে ১৬টি অর্ধশতরানসহ ৩১.৭৭-র গড়ে মোট ১৯১৬ রান করেছেন তিনি। দিল্লির হয়ে অধিনায়কত্বের দায়িত্বও সামলেছেন। তবে এ মরশুমের শুরুতে চোটের কারণে তিনি বাদ যাওয়ায় ঋষভ পন্তকে অধিনায়ক করা হয়। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ভাগে তিনি দলে ফিরলেও পন্তই অধিনায়ক থাকেন। এরপরেই শ্রেয়স দিল্লি ছাড়তে আগ্রহী বলে কানাঘুষো শোনা যায়। কার্যত তাতে শিলমোহর দিয়ে দিলেন অশ্বিন।
অধিনায়ক হিসাবে পন্তকে তো রিটেন করা হবেই, তাঁর পাশপাশি পৃথ্বী শ এবং আনরিখ নরকিয়াকে সম্ভবত রিটেন করতে চলেছে দিল্লি। অপরদিকে, শ্রেয়স এবং অশ্বিন, দুইজনেই অতীতে অধিনায়কত্ব করায় অধিনায়কের খোঁজে থাকা কোনো ফ্রাঞ্চাঞ্চইজির জন্য তাঁরা ভাল বিকল্পই বলতে হবে। প্রসঙ্গত, একটি ফ্রাঞ্চাইজি সর্বাধিক চারটি ক্রিকেটারকেই নিলামের আগে ধরে রাখতে পারবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।