বিরাট কোহলি নাকি জুনিয়রদের সঙ্গে ঠিক করে মিশতে পারেন না, এমন বদনাম রয়েছে তাঁর সম্পর্কে। কিন্তু রাজস্থান রয়্যালসের দেবদূত পাডিক্কাল একেবারে সেই ধারণা ভেঙে দিলেন সকলের। বরং তিনি শোনালেন অন্য গল্প।
কোহলিও যে সমান ভাবে তরুণ ক্রিকেটারদের পাশে থাকেন, তাঁদের উৎসাহ দেন, পাডিক্কালের গল্পতে সে কথাই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। ২০২০ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের জার্সিতে আইপিএলে অভিষেক হয়েছিল পাডিক্কালের। যদিও ২ বছর পরেই তাঁকে ছেড়ে দেয় আরসিবি। তবে পাডিক্কাল কিন্তু আরসিবি-তে থাকাকালীনই নজর কেড়েছিলেন। বাঁ-হাতি এই ওপেনার প্রথম মরশুমেই ব্যাট হাতে চারশোর বেশি রান হাঁকিয়েছিলেন। আর নিজের এই সাফল্যের পুরো কৃতিত্বই সে সময়ে আরসিবি অধিনায়ক বিরাটকেই দিচ্ছেন দেবদূত পাডিক্কাল।
এই মরশুমে রাজস্থান রয়্য়ালসের হয়ে আইপিএল খেললেও, কোহলিতে এখনও মুগ্ধ পাডিক্কাল। পুরনো স্মৃতি হাতড়াতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এই রাজস্থানের বিরুদ্ধেই গত বছর অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংস খেলছিলাম। মনে আছে, সে দিন ক্যামেরাম্যান যখন বিরাটকে বারবার দেখাচ্ছিলেন, তখন বিরাট সেই ক্যামেরাম্য়ানকে বলেছিল, আমাকে নয়, এই ছেলেটাকে দেখাও। ওই তো আজকে আমাদের সেরা পারফর্মার।’ দেবদত্ত আরও বলেন, ‘ওই দিনটি আমার কাছে ভীষণ ভীষণ স্পেশ্যাল ছিল। একজন ২০ বছরের ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে সেঞ্চুরি করতে পারব আমি, তা কখনও ভাবতেই পারিনি। তাও আবার ওয়াংখেড়ের মতো মাঠে। বিরাট, এবিডি-র মতো তারকা বিশ্বমানের ক্রিকেটারদের সামনে।’
আইপিলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সর জেরেই জাতীয় দলে সুযোগ পান পাডিক্কাল। গত বছর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে পাডিক্কাল বলেন, ‘ভারতীয় দলের জার্সি পড়ে খেলা যে কোনও বাচ্চার কাছে স্বপ্ন। যারা ক্রিকেটকে ভালবাসে, ক্রিকেটার হতে চায় প্রত্যেকেই দেশের জন্য খেলতে চায়। মাত্র ১১ বছর বয়সে ঠিক এই কারণেই হায়দরাবাদ থেকে ব্যাঙ্গালোরে চলে আসে আমার পরিবার।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।