জানেন কি ক্রিকেট খেলার জন্য বাবার থেকে বেল্ট দিয়ে মার খেতেন DC-র এই ক্রিকেটার

খলিল আহমেদ বলেছিলেন, ‘আমার তিন বড় বোন এবং আমার বাবা টঙ্ক জেলায় একজন কম্পাউন্ডার ছিলেন। তাই বাবা যখন তাঁর চাকরিতে যেতেন, আমাকে মুদি, দুধ বা সবজি কিনতে যাওয়ার মতো কাজ করতে হতো। তখন খেলতে যেতাম। যার মানে বাড়ির কাজ করা হত না।’

দিল্লি ক্যাপিটালস তাদের নিয়মিত অধিনায়ক ঋষভ পন্তকে ছাড়াই আইপিএল ২০২৩-এ নামতে প্রস্তুত। দলে অনেক চমৎকার বিদেশি ফাস্ট বোলার রয়েছে। তবে ভারতীয় ফাস্ট বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব নিতে চলেছেন খলিল আহমেদ। ২৫ বছর বয়সি খলিল, দিল্লি ক্যাপিটলস দলের প্রধান ভারতীয় ফাস্ট বোলারের ভূমিকা পালন করবেন। খলিল, যিনি ২০১৮ সালে তাঁর আইপিএল অভিষেক করেছিলেন, একই বছরে ভারতের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। যদিও তিনি ২০১৯ সালের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাননি। তবে তিনি গত বছর আইপিএলে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন।

খলিল আহমেদের পক্ষে ক্রিকেটার হওয়া সহজ ছিল না। জয়পুর জেলার টঙ্কের বাসিন্দা খলিলের বাবা একজন কম্পাউন্ডার। তিনি চেয়েছিলেন ছেলে ডাক্তার হবে। কিন্তু খলিলের স্বপ্ন ছিল একেবারেই ভিন্ন। ক্রিকেট খেলার জন্য খলিলকে তাঁর বাবার থেকে অনেক বকাঝকা হজম করতে হয়েছে। এমনকি খলিলের বাবা তাঁকে অনেক সময় বেল্ট দিয়েও মারধরও করতেন। খলিল আহমেদ সম্প্রতি আকাশ চোপড়ার সঙ্গে আলাপকালে বলেছিলেন, ‘আমার তিন বড় বোন এবং আমার বাবা টঙ্ক জেলায় একজন কম্পাউন্ডার ছিলেন। তাই বাবা যখন তাঁর চাকরিতে যেতেন, আমাকে মুদি, দুধ বা সবজি কিনতে যাওয়ার মতো কাজ করতে হতো। তখন খেলতে যেতাম। যার মানে বাড়ির কাজ করা হত না।’

বাঁহাতি ফাস্ট বোলার আরও বলেন, ‘আমার মা আমার বাবার কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ করতেন, তারপর তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন আমি কোথায় আছি। সেই সময়ে আমি মাঠে থাকতাম। সেই সময়ে তিনি খুব রাগ করতেন। কারণ আমি পড়াশোনা করিনি এবং চাকরিও করিনি। তখন তিনি আমাকে বেল্ট দিয়ে মারতেন, যা আমার শরীরে দাগ রেখেছিল। আমার বোনেরা রাতে ওই ক্ষতের চিকিৎসা করত।’ আইপিএলে এখন পর্যন্ত ৩৪টি ম্যাচ খেলেছেন খলিল আহমেদ। এই ম্যাচ খেলে তিনি ৪৮টি উইকেট নিয়েছিলেন। গত মরশুমে তিনি ১০ ম্যাচে ১৬টি উইকেট নিয়েছিলেন। এই মরশুমে ভালো করলে তিনি টিম ইন্ডিয়াতেও ফিরে আসতে পারেন। খলিল, যিনি ২০১৬ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার অংশ ছিলেন, এখনও পর্যন্ত ১১টি ওডিআই এবং ১৪টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। এতে তার যথাক্রমে ১৫টি ও ১৩টি উইকেট শিকার করেছেন খলিল আহমেদ।