রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং ইয়ন মর্গ্যানের মধ্যে ঝামেলার জের এখনও চলছে। ঝামেলার শুরুটা টিম সাউদির সঙ্গে অশ্বিনের হলেও, পরে মর্গ্যান এসে কিছু মন্তব্য করায়. তাঁর সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয়ে যায় ভারতের এক নম্বর স্পিনারের। স্পিরিট অফ ক্রিকেট বিতর্কে প্রসঙ্গে এ বার মর্গ্যানের পাশে দাঁড়িয়ে সরব হলেন নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার জিমি নিশাম।
এই ঝামেলা প্রসঙ্গে কলকাতা নাইট রাইডার্সের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিক বলেছিলেন, ‘আগেই রাহুল ত্রিপাঠি একটি বল ছুড়েছিল। যেটা পন্তের গায়ে লেগে অন্য দিকে চলে যায়। অশ্বিন সেটাতেও রান নেওয়ার জন্য দৌড়তে শুরু করে। আমার যতদূর মনে হয়, মর্গ্যানের বিষয়টি পছন্দ হয়নি। বল ব্যাটারের গায়ে লেগে অন্য দিকে গেলে তাতে রান নেওয়া ও একেবারেই পছন্দ করে না। কারণ সেটা ক্রিকেটের ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে।’ জিমি নিশাম আবার দাবি করেছেন, কারও গায়ে বল লেগে বেরিয়ে গেলে রান নেওয়াটা ক্রিকেটের শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না।
স্পিরিট অফ ক্রিকেট বিতর্কে মর্গ্যান না অশ্বিন কার পাশে দাঁড়াচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেট মহল? টুইটারে এই প্রশ্নে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এর উত্তরে নিশাম লিখেছেন, ‘অবশ্যই মর্গ্যান’। যার উত্তরে অশ্বিনের পাশে দাঁড়িয়ে একজন লিখেছেন, যখন গায়ে লেগে চার হয়, তখন সেই রানটা ধরা হয়। তখন তো রানটা ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। তা হলে এক রান নেওয়ার জন্য এত বিতর্ক হচ্ছে কেন? এর কারণও টুইটারেই ব্যাখ্যা করেছেন নিশাম। তাঁর দাবি, ‘সেখানে রান হয় কারণ বল নিজেই বাউন্ডারি পার করে যায়। কিন্তু ক্রিকেটের শিষ্টাচার হল, কারও গায়ে বল লেগে গেলে রান নেওয়াটা উচিত নয়। এই বিষয়টি অলিখিত নিয়ম বা ক্রিকেটের স্পিরিট হিসেবেই ধরা হয়।’ যদিও এই যুক্তিকে অনেকেই হাস্যকর বলে দাবি করেছেন।
মঙ্গলবার কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচে উত্তপ্ত হয়েছিল শারজা। প্রকাশ্যে তীব্র ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং টিম সাউদি। আর সেই বাদানুবাদে জড়িয়ে যান ঠাণ্ডা মাথার নাইটদের অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানও। মর্গ্যান সেই ঝামেলায় জড়াতেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে গিয়েছিল। ঠাণ্ডা মাথার মর্গ্যানকে ঝামেলায় জড়াতে দেখে সকলেই একটু অবাক হয়েছিল। তবে মর্গ্যানের মেজাজে হারানোর জন্য স্পিরিট অফ ক্রিকেটের প্রসঙ্গে তুলে যে অজুহাত দেওয়া হচ্ছে, সেটা আদৌ কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
এর আগে ক্রিকেটের অদ্ভূত নিয়মের জেরে নিউজিল্যান্ডকে ২০১৯ বিশ্বকাপ হাতছাড়া করতে হয়েছিল। জিতেছিল ইংল্যান্ড। তাও ম্যাচে কিউয়িদের চেয়ে বেশি বাউন্ডারি মারায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড। সে সময়ে নিউজিল্যান্ডের প্লেয়াররাই সরব হয়েছিলেন। সে কথা কি নিশাম ভুলে গিয়েছেন? প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।