বিরাট কোহলি তাঁর বাবার মৃত্যুর পরে কৃতকর্ম ফেলে রেখেই রঞ্জি ট্রফিতে দিল্লিকে বাঁচাতে খেলতে চলে গিয়েছিলেন। এই গল্পটি ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে সাহসী ঘটনাগুলির মধ্যে একটি। কিন্তু আপনি কি জানেন যে ঋষভ পন্ত একই রকম ট্র্যাজেডির শিকার হওয়ার পরে একই ভাবে দুর্দান্ত মানসিক শক্তি এবং দৃঢ়তা দেখিয়েছিলেন? প্রবীণ ভারতীয় ক্রিকেট কোচ তারক সিনহার সহকারী দেবেন্দর শর্মা, যিনি ভারত ক্রিকেট টিমে পন্তকে ঢোকাতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন, তিনি জানিয়েছেন, পন্ত তাঁর বাবার মৃত্যুর যন্ত্রণা বুকে চেপে দু'দিনের মধ্যে আইপিএল খেলতে নেমেছিলেন। রানও পেয়েছিলেন।
তারক সিনহা ঘরোয়া ক্রিকেট সার্কিটের একজন বিখ্যাত কোচ। দিল্লিতে সনেট ক্রিকেট ক্লাব চালাতেন, যেখানে পন্তের ক্রিকেট জীবন শুরু। গত নভেম্বরে পন্ত তাঁর কোচকে হারানোর পর শোকে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক দাবি করেছিলেন, ‘এটা আবার আমার বাবাকে হারানোর মতো ছিল।’ দেবেন্দর স্মরণ করেছেন যে, কী ভাবে তারক সিনহার মৃত্যুর খবর পন্তকে কঠিন ভাবে আঘাত করেছিল। কিন্তু মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি।
পন্তের মানসিক দৃঢ়তার কথা বলতে গিয়ে দ্য উইকে দেবেন্দর এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ওস্তাদ জির ক্যান্সার ধরা পড়ার খবর যখন প্রথম আসে, তখন পন্ত খুব ভেঙে পড়েছিল। এমন কী আমরা স্যারের রিপোর্টও ওকে পাঠিয়েছিলাম। যখন ও ইংল্যান্ডে ছিল। ডাক্তার ঋষভকে বলেছিলেন যে, স্যারের চিকিৎসা দিল্লি বা জয়পুরে করাই ভালো। স্যার মারা গেলে ও একেবারে ভেঙে পড়েছিল। আসলে আমরা সবাই ভেবেছিলাম, স্যার এই যুদ্ধে লড়াই করে জিতে যাবে। কিন্তু পান্ত মানসিক ভাবে খুব শক্তিশালী ছিল, এমন কী ওর বাবা মারা গিয়েছিল, সেই সময় সব কৃতকর্ম শেষ করে দু'দিনের মধ্যে আইপিএল খেলতে নেমে পড়েছিল এবং রানও করেছিল।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।