টসে জিতে এ দিন প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু সেই ব্যাটিং নিয়ে ম্যাচের পরে আফসোস করতে দেখা যায় মাহিকে। আসলে প্রথম ব্যাট করে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৩ রান করে সিএসকে।
যে কারণে ম্যাচের পর ধোনিকে আফসোস করে বলতে শোনা যায়, ‘প্রথমে ব্যাট করাটা খুব একটা ভালো বিষয় ছিল না। প্রথমার্ধে ফাস্ট বোলারদের মারাটা বেশ কঠিনই ছিল, স্পিনারদের খেলাটাও কঠিন হচ্ছিল।’
এর সঙ্গেই মাহি পাথিরানার প্রশংসা করেন। শ্রীলঙ্কার প্রথম আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবে আইপিএলের ম্যাচে অভিষেক হল তাঁর। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে সিএসকে-র জার্সিতে প্রথম বার আইপিএলের ম্যাচ খেলতে নেমে ২ উইকেট তুলে নেন ১৯ বছর বয়সী ক্রিকেটার। সেই সঙ্গে দুরন্ত বোলিং করে নজরও কাড়লেন।
আরও পড়ুন: মজার বোলিং ভঙ্গি, লঙ্কার প্রথম আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবে IPL অভিষেকে নজির পথিরানার
ধোনি বলেন, ‘পাথিরানার ভুল-ত্রুটি কম করে। ও ভালো স্লোয়ার করে এবং ও যদি এভাবে ধারাবাহিক গতিতে বল করতে থাকে, তবে ওকে খেলা কঠিন হবে।’ সেই সঙ্গে ধোনি দলে নতুনদের সুযোগ দেওয়া প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমরা সকলকে সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করব। আমরা একটি ভালো একাদশ তৈরি করার চেষ্টা করছি এবং আগামী ম্যাচেও সেই প্রচেষ্টাই করব।’
ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। দারুণ ফর্মে থাকা ডেভন কনওয়ে এদিন মাত্র পাঁচ রান করেই সাজঘরে ফেরেন। তবে রুতুরাজ ক্রিজে টিকে ছিলেন। তিন নম্বরে নামা মইন আলির সঙ্গে মিলে ৫৭ রানের পার্টনারশিপ করে দলকে বেশ ভালো জায়গায়ই নিয়ে যাচ্ছিলেনও। তবে মিডল ওভার গুলোতে একদমই যেন খেই হারিয়ে ফেলে সিএসকে। জগদীশন অপরাজিত ৩৯ এবং রুতুরাজ ৫৩ রান করলেও, কোনও সময়েই দলের হয়ে রানের গতি বাড়াতে পারেননি তাঁরা।
ধোনিও ১০ বলে মাত্র সাত করেন। ফলে পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৩ রানই তুলতে পারে সিএসকে। গুজরাটের হয়ে ১৯ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নিয়ে সফলতম বোলার মহম্মদ শামি। এরপর ব্যাট হাতে পাওয়ার প্লেতেই ঋদ্ধিমান সাহার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ভর করে কোনও উইকেট না হারিয়েই ৫৩ রান তুলে ফেলে গুজরাট। সিএসেকের হয়ে অভিষেকে মাথিসা পথিরানা প্রথম বলেই শুভমন গিলকে ১৮ রানে ফেরানোর পর হার্দিক পান্ডিয়াকেও সাত রানে আউট করে ম্যাচে কিছুটা রুচি আনেন।
তবে গুজরাটের তুখড় স্টার্টের পর, ১৩৪ তাড়া করা একেবারেই কঠিন কিছু ছিল না। নিরন্তর উইকেট নিয়েই একমাত্র গুজরাটকে আটকানো যেত। কিন্তু সিএসকে, তা পারেনি। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলের হয়ে জয় সুনিশ্চিত করেন ঋদ্ধি। তিনি ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন। পাঁচ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে নিজেদের মরশুমের দশম ম্যাচটি জিতে নেয় গুজরাট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।