ইনিংসের বিরতিতে হাতে এমনিতেই সময় কম থাকে। তার উপর যদি অপ্রস্তুত অবস্থায় কোনও ক্রিকেটারকে বলা হয় তড়িঘড়ি মাঠে নামতে, তবে তাড়াহুড়োয় কোন ধরণের ভুল হতে পারে তাঁর পক্ষে, সর্বাত্মক নমুনা পেশ করলেন ঋদ্ধিমান সাহা।
নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত হাফ-সেঞ্চুরি করে গুজরাট টাইটানসকে বড় রানের ইনিংসে পৌঁছে দেন ঋদ্ধিমান। প্রচণ্ড গরমে ব্যাট করার পরে ঋদ্ধি অস্বস্তিতে ছিলেন বলেই সম্ভবত তাঁকে ফিল্ডিং করা থেকে বিরত রাখতে চায় টাইটানস শিবির। তাঁর বদলে কেএস ভরতকে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই কিপিং করানোর সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট।
তবে বাধ সাধেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। চতুর্থ আম্পায়ার ভরতকে ইনিংসের শুরু থেকেই মাঠে নামা থেকে আটকান। ভরত মাঠে নামার অনুমতি না পাওয়ায় গুজরাটকে তড়িঘড়ি পরিকল্পনা বদল করতে হয়। এক্ষেত্রে ঋদ্ধিকে তাড়াতাড়ি মাঠে নামার নির্দেশ দেয় গুজরাট টিম ম্যানেজমেন্ট।
সাহা তাড়াহুড়োয় উল্টো ট্রাউজার পরেই মাঠে নেমে পড়েন। ট্রাউজারের সামনের দিকে স্পনসরের নাম তথা লোগো থাকে। সাহা মাঠে নামার পরে দেখা যায় যে, স্পনসরদের বিজ্ঞাপন রয়েছে তাঁর পিছন দিকে। বিষয়টি সবার আগে নজরে আসে ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়ার। ঋদ্ধিকে উল্টো প্যান্ট পরে মাঠে নামতে দেখে হেসেই খুন গুজরাট দলনায়ক।
ঋদ্ধি অবশ্য খুব বেশিক্ষণ ফিল্ডিং করেননি। তিনি ২ ওভার ফিল্ডিং করার পরেই ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছাড়েন। তাঁর পরিবর্তে কিপিং করতে নামেন কেএস ভরত।
ঘরের মাঠে লখনউয়ের বিরুদ্ধে ফিরতি লিগ ম্যাচে চলতি মরশুমে প্রথমবার ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরির গণ্ডি টপকে যান ঋদ্ধি। যদিও নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন তিনি। ৬টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২০ বলে ৫০ রানের গণ্ডি টপকে যান সাহা।
আরও পড়ুন:- লজ্জা পাবে টেস্ট ক্রিকেট, T20 ম্যাচের ২০ ওভারে উঠল ২১ রান, প্রতিপক্ষ ম্যাচ জিতল ১৫ বলে
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ঋদ্ধি আইপিএলের ইতিহাসে গুজরাট টাইটানসের হয়ে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়ে ফেলেন। তিনি ভেঙে দেন বিজয় শঙ্করের রেকর্ড। বিজয় শঙ্কর চলতি মরশুমেই কেকেআরের বিরুদ্ধে মাত্র ২১ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন। এতদিন সেটিই ছিল টাইটানসের জার্সিতে কোনও ক্রিকেটারের সব থেকে কম বলে করা অর্ধশতরানের নজির। এবার থেকে সেই রেকর্ড লেখা থাকবে ঋদ্ধির নামে। ঋদ্ধিমান এই ম্যাচে ৪৩ বলে ৮১ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ১০টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন।