1/6মুম্বইয়ের ধারাবাহিকতার অভাব এ বার ছিলই। ভালো খেলতে খেলতে মাঝেমাঝেই মুখ থুবড়ে পড়ছিল তারা। কোয়ালিফায়ার-টু-তেও লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ম্যাচের রেশ ধরে রাখতে পারেনি মুম্বই। যার ফল হাতেনাতে পেতে পেতে হয়েছে।
2/6গুজরাট টাইটান্সের দেওয়া ২৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মুম্বইয়ের ব্যাটিংয়ে এ দিন সেই ঝড়টাই উঠতে দেখা যায়নি। তার উপর ইশান কিষাণের চোট এ দিন গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়। টাইটান্সের ইনিংস চলার সময়ে চোট পান ইশান। যার জেরে তিনি ব্যাট করতেই নামতে পারেননি। ইশানের ব্যাট করতে না নামাটা বড় ধাক্কা হয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের।
3/6ইশান নেই, সেখানে এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে রোহিত শর্মার দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তিনি এ দিন চূড়ান্ত হতাশ করেন। ৭ বলে মাত্র ৮ রান করে তিনি সাজঘরে ফিরে যান। ওপেন করতে নেমে নেহাল ওয়াধেরাও ব্যর্থ হন। ২.২ ওভারে দুই ওপেনারকে হারিয়েই চাপে পড়ে যায় মুম্বই। যেটা আর শেষ পর্যন্ত কাটিয়ে উঠতে পারেননি রোহিতরা।
4/6মুম্বইয়ের খারাপ ফিল্ডিংয়েরও খেসারত দিতে হয় রোহিতদের। ৩০ রানে শুভমনে সহজ ক্যাচ মিসের ফলই ম্যাচ হেরে দিতে হল মুম্বইকে। কথাতেই আছে, ক্যাচ মিস তো, ম্যাচ মিস। জীবনদান পেয়ে শুভমন ৬০ বলে ১২৯ রান করেন। যেটা গুজরাটকে ২৩৩ রানের পাহাড় প্রমাণ ইনিংস গড়তে সাহায্য করে। এই রানের বোঝা কাঁধে নিয়ে খেলতে নেমে মুখ থুবড়ে পড়ে মুম্বই।
5/6রোহিতের বোলাররাও এ দিন জ্বলে উঠতে পারেননি সেভাবে। রোহিত নিজেও স্বীকার করে নিয়েছেন, ২৫-৩০ অতিরিক্ত রান হয়েছে। আগের ম্যাচে নজর কাড়া আকাশ মাধওয়াল থেকে শুরু করে পিযূষ চাওলা, ক্রিস জর্ডন, ক্যামেরন গ্রিনরা হরির লুটের মতোই রান বিলিয়েছেন। যার জেরে রানের পাহাড় গড়েছে টাইটান্স।
6/6মুম্বইয়ের ব্যাটাররাও জ্বলে উঠতে পারেননি। মহম্মদ শামি দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে শুরুটা করেছিলেন। পরে মোহিত শর্মা আগুনে মেজাজে সূর্যকুমার যাদব, বিষ্ণু বিনোদ সহ ৫ উইকেট তুলে নিয়ে মুম্বই বধের শেষ পেরেক পোঁতেন। সূর্য (৬১), তিলক বর্মা (৪৩), ক্যামেরন গ্রিনরা (৩০) কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু টাইটান্সের পাহাড় প্রমাণ রানের সামনে সেই চেষ্টা ক্ষুদ্র প্রমাণিত হয়।