গুজরাট টাইটানস যখন ব্যাট করছিল, মনে হচ্ছিল বুঝি ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের পিচে রান তোলা অত্যন্ত কষ্টকর বিষয়। তবে ছবিটা পুরোপুরি বদলে যায় পঞ্জাব কিংস ব্যাট করতে নামতেই। তখন বাইশগজকে ব্যাটিং স্বর্গ বলে মনে হয়।
দু'দলের ব্যাটিংয়ের এমন ভিন্ন ছবিই বলে দিচ্ছিল ম্যাচের ভবিতব্য কী হতে চলেছে। শেষমেশ দাপটের সঙ্গে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে পঞ্জাব।
টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট টাইটানস। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৩ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পঞ্জাব কিংস ১৬ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৪ ওভার, অর্থাৎ ২৪ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে পঞ্জাব।
গুজরাটের হয়ে ব্যাট হাতে কার্যত একক লড়াই চালান সাই সুদর্শন। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫০ বলে ৬৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া ঋদ্ধিমান সাহা করেন ১৭ বলে ২১ রান। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
শুভমন গিল ৯, হার্দিক পান্ডিয়া ১, ডেভিড মিলার ১১, রাহুল তেওয়াটিয়া ১১, রশিদ খান ০, প্রদীপ সাঙ্গওয়ান ২ ও লকি ফার্গুসন ৫ রান করে আউট হন। ৪ রানে অপরাজিত থাকেন আলজারি জোসেফ। পঞ্জাবের হয়ে ৩৩ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা। ১টি করে উইকেট দখল করেন ঋষি ধাওয়ান, অর্শদীপ সিং ও লিয়াম লিভিংস্টোন।
আরও পড়ুন:- GT vs PBKS: হার্দিককে ফিরিয়ে ফ্লাইং কিস ধাওয়ানের, ভালোবাসা নাকি কটাক্ষ? ভিডিয়ো
পঞ্জাবের হয়ে ওপেন করতে নেমে মাত্র ১ রান করে আউট হন জনি বেয়ারস্টো। শিখর ধাওয়ান ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫৩ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ভানুকা রাজাপক্ষে ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৪০ রান করে মাঠ ছাড়েন। লিভিংস্টোন ২টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১০ বলে ৩০ রান করে নট-আউট থাকেন। শামি ও ফার্গুসন ১টি করে উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন রাবাদা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।