ব্যাটের হাত নিতান্ত মন্দ নয়। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে গুজরাটের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন রশিদ খান। তাই রশিদের কাছ থেকে ব্যাট হাতে ছোটখাটো অবদান আশা করতেই পারে তাঁর দল। তবে তাই বলে শেষ ৪ বলে ১৫ রান বাকি এবং ৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জেতাবেন আফগান তারকা, এতটাও ভাবা সম্ভব হয়নি ক্রিকেটপ্রেমীদের পক্ষে।
যদিও শেষমেশ সেই কার্যত অসম্ভব ছবিই দেখা যায় ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। মারকো জানসেনের জীবন দুর্বিসহ করে রশিদ খান ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে যান হায়দরাবাদের কাছ থেকে। শেষ পর্যন্ত ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১১ বলে ৩১ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন রশিদ খান। দলকে ম্যাচ জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন তিনি।
অবশ্য বল হাতে দিনটা মোটেও ভালো কাটেনি তারকা স্পিনারের। ৪ ওভারে ৪৫ রান খরচ করেও কোনও উইকেট তুলতে পারেননি তিনি। নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে বল হাতে এভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার পরে রশিদ ব্যাট হাতে যাবতীয় আক্রোশ মিটিয়ে নেন।
ম্যাচের শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রশিদের গলায় স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বাস ধরা পড়ে। বিশেষ করে পুরনো দলের বিরুদ্ধে এভাবে ম্যাচ জেতাতে পারা বাড়তি তৃপ্তি দিচ্ছে অফগান তারকাকে। তিনি লুকিয়েও রাখেননি বিষয়টা। স্পষ্ট স্বীকার করে নেন যে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে এমন ইনিংস খেলতে পারায় তিনি খুশি। সেই সঙ্গে শেষ ওভারে ২২ রান তাড়া করে নিজেদের জয়ের পরিকল্পনাও খোলসা করেন রশিদ।
আফগান তারকা বিষয়টা সহজ করে নিয়েছিলেন এভাবে যে, হায়দরাবাদ শেষ ওভারে ২৫ রান তুলেছে। তাও আবার লকি ফার্গুসনের মতো সেরা বোলারের বিরুদ্ধে। তাহলে তাঁরাই বা পারবেন না কেন। রশিদ বলেন, ‘শেষ ওভারে ২২ দরকার ছিল। আমি তেওয়াটিয়াকে বলি, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। মাথা ঠান্ডা রেখে ব্যাট করতে হবে। ওরা শেষ ওভারে ২৫ রান তুলেছে আমাদের সেরা বোলার লকি ফার্গুসনের বিরুদ্ধে। আমরা কেন পারব না। আমাদের শুধু বিশ্বাস রাখতে হবে।’
পরক্ষণেই রশিদ জানান যে, জয় তুলে নেওয়াই তাঁদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল। তবে তাঁরা চেয়েছিলেন টার্গেটের যতটা সম্ভব কাছে যাওয়ার, যাতে রান-রেটের ক্ষেত্রেও পরবর্তী সময়ে সুবিধা পাওয়া যায়।