পাহাড়ে ঘেরা ধরমশালায় আইপিএলে মুখোমুখি হয়েছে পঞ্জাব কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিটালস। এমনিতেই টুর্নামেন্ট থেকে পাকাপাকি ভাবে ছিটকে গিয়েছে ডেভিড ওয়ার্নারের দল। ফলে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলতে নামে রিকি পন্টিংয়ের শিষ্যরা। এদিন টসে জিতে প্রথমে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠান পঞ্জাব কিংস অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান।
তবে এই ম্যাচের শুরুটা একেবারেই খারাপ করেনি দিল্লি ক্যাপিটালস দল। ওপেন করতে নামা ডেভিড ওয়ার্নার এবং পৃথ্বী শ'য়ের ব্যাটে ভর করে বড় রানে এগিয়ে যেতে থাকে দিল্লি। শুধু তাই নয়, পাওয়ারপ্লেতে দাপট দেখায় তারা। তবে ইনিংসের একেবারে শুরুতে চালিয়ে না খেললেও ওভার যত গড়িয়েছে ততই রানের গতি বেড়েছে দিল্লির। একটা সময় এমন পরিস্থিতি হয়ে যায়, এই দুই ওপেনারই অর্ধশতরান করার দোরগোড়ায় চলে যায় ঠিক সেই মুহূর্তেই স্যাম কারানের বলে ক্যাচ তুলে দেন ওয়ার্নার। স্লো-বল বুঝতেই পারেননি অজি তারকা। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি ধাওয়ান।
দৌড়ে এসে এক হাতে লাফিয়ে ক্যাচ ধরে নেন গব্বর। দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে দিল্লির অধিনায়ককে ফিরিয়ে দেন তিনি। ৯৪ রানের পার্টনারশিপ ভেঙে দেন কারান। ৩১ বলে ৪৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন ওয়ার্নার। তাঁর এই ইনিংসটি সাজানো ৫টি বাউন্ডারি এবং মাত্র ২টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে।
ডেভিড ওয়ার্নার অর্ধশতরান হাতছাড়া করলেও দায়িত্ব নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান পৃথ্বী। অর্ধশতরান করেন দিল্লির এই তরুণ ব্যাটার। ৩৮ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। পৃথ্বীর ইনিংসটি সাজানো ৭টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে। ওয়ার্নার এবং পৃথ্বীর পাশাপাশি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন রিলি রসউ। মাত্র ৩৭ বলে অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংস খেলেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই ব্যাটার। তাঁর এই বাউন্ডারিটি সাজানো ৬টি বাউন্ডারি এবং ৬টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। এছাড়াও ফিল সল্ট ১৪ বলে ২টি বাউন্ডারি এবং ২টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
তবে শেষ ওভারে ২৩ রান সংগ্রহ করেন দিল্লির এই দুই ব্যাটার। অন্তিম ওভারে বল করতে আসেন হরপ্রীত ব্রার। প্রথম বলেই ছক্কা মারেন রসউ। ঠিক পরের বলেই ওয়াইড বল করার চেষ্টা করেন হরপ্রীত। কিন্তু সেই বলও বাউন্ডারি মারেন রসউ। ঠিক পরের বলেই ওয়াইড করেন পঞ্জাবের এই স্পিনার। রসউ কিন্তু ছেড়ে কথা বলেননি পরের বলে ছক্কা মারেন তিনি। ফের লাইনের বাইরে বল অর্থাৎ ওয়াইড করেন হরপ্রীত। অবশ্য পরের বলে ১ রান নেন রসউ। স্ট্রাইকে আসেন সল্ট। তিনি অবশ্য পঞ্চম বলটিতে কোনও রান নেননি। কিন্তু ওভারের একেবারে শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে দলকে ২ উইকেটে ২১৩ রানে পৌঁছে দেন তিনি। সেই সঙ্গে হরপ্রীতের ওভারে ২৩ রান সংগ্রহ করে দিল্লি। শেষ ওভারে এত রান না হলে অনেক আগেই শেষ হয়ে যেতে পারত প্রথম ইনিংস। যদিও তা হয়নি। এখন এটাই দেখার ২১৪ রান টার্গেট নিয়ে ম্যাচ জিততে পারে নাকি পঞ্জাব।
(আইপিএলের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে- https://bangla.hindustantimes.com/sports/ipl)
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।