বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের জন্য ২০ জনের দলে কুলদীপ যাদবকে না রাখা নিয়ে অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারই প্রশ্ন তুলেছেন। এ বার কুলদীপ নিজেও হতাশা আর লুকিয়ে রাখতে পারলেন না। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি মনের কথা সবার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে সিডনি টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন কুলদীপ। তার পরে আবার সুযোগের জন্য তাঁকে দু'বছর অপেক্ষা করতে হয়। ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম একাদশে সুযোগ পান কুলদীপ। তার পর আর তাঁকে খেলানো হয়নি। এমনকী ২০ জনের যে দলটি ইংল্যান্ড উড়ে যাচ্ছে, সেখানেও তাঁকে রাখা হয়নি। পাশাপাশি স্ট্যান্ড বাই চার ক্রিকেটারের মধ্যেও তাঁর নাম নেই।
কুলদীপ বলছিলেন, ‘যতটা আশা করেছিলাম, সে রকম ম্যাচে খেলার সুযোগ আমি পাইনি। যে কারণে আমার আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দেয়। যখন পরপর ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়া যায়, তখন এমনিতেই আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। যত বেশি দলের বাইরে বসে থাকতে হয়, লড়াইটা তত কঠিন হয়ে যায়। আমি নিজের উপই মারাত্মক চাপ অনুভব করি। ফেব্রুয়ারি মাসে চেন্নাইয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলেছিলাম। কোভিডের কারণে তার আগের বছর সে ভাবে খেলা হয়নি। যে কারণে পরিস্থিতিটা আমার জন্য খুবই কঠিন হয়ে উঠেছিল।’
এর সঙ্গেই বলেছেন, ‘কখনও কখনও আমার মনে হত, এটা কী হচ্ছে? খুবই কঠিন সময় ছিল। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি আর আগের কুলদীপ নেই। কখনও আবার মনে হয়, না আমি একই রয়েছি। এবং সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষা করতে থাকি।’
নাগাড়ে নিজের হাতাশা কথা বলে গিয়েছেন কুলদীপ। তিনি আরও বলেছেন, ‘এমন একটা সময় ছিল, যখন প্লেয়ারদের মাঠে জল পৌঁছে দিতাম এবং রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকতাম। সেই সময়ে ওটাই সেরা মনে হত। কিন্তু একটা সময়ের পর, সেই জায়গায় আর থাকতে আর ইচ্ছে করে না। তখন মনে হয়, আমিও খেলি। নিজেকে সব সময় অনুপ্রাণিত করতে থাকি। নিজেকে খুশি রেখে বোঝানোর চেষ্টা করি, আমি বলটা ভাল করি। তাও নিজেরই কিছু দ্বিধা থেকে যায়।’
এমন কী আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রথম একাদশেও তিনি সুযোগ পাননি। স্বাভাবিক ভাবে কুলদীপ এতটাই মুষড়ে পড়েছিলেন, নিজের যোগ্যতা নিয়ে নিজেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। কুলদীপ বলছিলেন, ‘যখন কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রথম একাদশেও সুযোগ পেলাম না, তখন আমার মনে হয়েছিল, আমি এতটাই খারাপ? এটা ম্যানেজমেন্টের একটি সিদ্ধান্ত এবং তাদের গিয়ে জিজ্ঞাসা করাটাও ঠিক হতো না। স্পিনিং ট্র্যাক জানার পরও আমি চেন্নাইয়ে খেলতে পারিনি। আমি এই সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছিলাম। কিন্তু কিছুই করার ছিল না। এমনিতেই জৈব সুুরক্ষা বলয়ে থাকাটা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। তার মধ্যে আমি খেলার সুযোগ পাচ্ছিলাম না বলে, আমার কিছুই ভাল লাগছিল না।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।