এখন যদি বিসিসিআই সিভিসি ক্যাপিটাল পার্টনারদের আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে ভবিষ্যতে কী হবে? কারা পাবে আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা? ক্রিক ট্র্যাকার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেক্ষেত্রে সিভিসি ক্যাপিটাল পার্টনারদের পরিবর্তে আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক হতে পারে আদানি গ্রুপ। কারণ সিভিসি ক্যাপিটাল পার্টনাররা আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা নিয়েছিলেন ৫৬২৫ কোটি টাকার বিড করে। যদি সিভিসি ক্যাপিটাল পার্টনারদের মালিকানা না দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে আদানি গ্রুপ ছিল পরবর্তী সর্বোচ্চ দরদাতা। ৫১০০ কোটি টাকার দর ডেকে ছিল আদানি গ্রুপ। ক্রিক ট্র্যাকার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেক্ষেত্রে সিভিসি ক্যাপিটাল পার্টনারদের বাতিল করা হলে নিয়ম অনুযায়ী আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক হবে আদানি গ্রুপ।
CVC ক্যাপিটাল পার্টনারদের ওয়েবসাইটে টিপিকো এবং সিসাল, উভয় বেটিং কোম্পানি টিপকো অনলাইন গেমিংয়ের জন্য একটি বেটিং কোম্পানি, সিসাল একটি অর্থপ্রদানকারী সংস্থা৷ আর বলাই বাহুল্য, ভারতে বেটিং করা নিষিদ্ধ। আইপিএলের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম চেয়ারম্যান, ললিত মোদি বিড চূড়ান্ত হওয়ার দিনে টুইট করেছিলেন যে বিসিসিআই বাজি সংস্থাগুলিকে আইপিএল দল কেনার অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে। মোদি আরও যোগ করেছেন যে বিসিসিআই তার হোমওয়ার্ক করেনি। টুইট করে ললিত মোদি লেখেন, ‘আমার ধারণা বাজি কোম্পানিগুলো এখন আইপিএল-এর একটি দল কিনতে পারে। এটা নতুন নিয়ম হতে পারে বোধ হয়। দৃশ্যত একটি বড় বাজি কোম্পানির মালিক একজন যোগ্য দরদাতা। হোমওয়ার্ক না করে আসা বিসিসিআই এরপর কি করবে। এমন ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কী করবে?’
বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) এখন বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করবে। বিসিসিআই এই সমস্যাটি দেখার জন্য একটি নিরপেক্ষ প্যানেল নিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে। এই সম্মানিত প্যানেলে সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের বিচারকদের পাশাপাশি অন্যান্য আইনি বিগবিগদেরও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এছাড়াও, এই বিষয়েও ৪ ডিসেম্বর ২০২১ সালে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের একটি সভা হবে। সেখানেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।