আইপিএল ফাইনালে বল হাতে একেবারে আগুনে মেজাজে ধরা দেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। তিনি রাজস্থান রয়্যালসের তিন প্রধান স্তম্ভকেই প্যাভিলিয়নে ফেরান এ দিন। তার উপর আবার অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনকে ফিরিয়ে নয়া নজির গড়ে ফেলেছেন হার্দিক। স্পর্শ করেছেন ভারতের কিংবদন্তি স্পিনার অনিল কুম্বলের রেকর্ড।
ক্যাপ্টেন বনাম ক্যাপ্টেনের একেবারে মুখোমুখি লড়াইয়ে বাজিমাত করেন হার্দিক। রাজস্থানের ইনিংসে ৮.২ ওভারে সঞ্জুকে ফেরান টাইটানস অধিনায়ক। তখন রাজস্থানের রান মাত্র ৬০। আর সঞ্জুর সংগ্রহ ছিল ১৪। পাণ্ডিয়ার বলে সাই কিশোর ক্যাচ ধরেন।
এক দলের ক্যাপ্টেন বিপক্ষ দলের ক্যাপ্টেনকে ফাইনাল ম্যাচের দিন আউট করেছেন, এমন ঘটনা বিরল। ১৫ বছরের আইপিএলের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় বার ঘটল। এর আগে ২০০৯ সালের ফাইনালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক অনিল কুম্বলে জোহানেসবার্গে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস (বর্তমানে দিল্লি ক্যাপিটালস) ক্যাপ্টেন অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে আউট করেছিলেন। ১৩ বছর পর ফের সেই নজির স্পর্শ করলেন হার্দিক।
আরও পড়ুন: রণবীরের নাচের তালের সঙ্গে রহমানের সুরের জাদু- IPL 2022 সমাপ্তি অনুষ্ঠান জমজমাট
এ দিন হার্দিক শুধু সঞ্জুকেই ফেরাননি। তিনি ফিরিয়েছেন জোস বাটলার এবং শিমরন হেতমায়েরকেও। বাটলার এ দিন সাড়ে আটশো রান পূরণ করেন। সঙ্গে তিনি ডেভিড ওয়ার্নারকে টপকে যান। সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসেন। পাশাপাশি আইপিএলের দ্বিতীয় প্লেয়ার হিসেবে ৮৫০ রান পূরণ করেন তিনি। তবু ফাইনালে নিরাশই করলেন তিনি। ৩৫ বল খেলে মাত্র ৩৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। স্লো ব্যাটিংয়ের সঙ্গে হতাশাজনক ইনিংস খেলেন বাটলার।
হেতমায়ের আবার ১২ বলে ১১ করে হার্দিকের বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। ৪ ওভার বল করে ১৪ রান রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলেন নেন গুজরাট টাইটানসের অধিনায়ক। এ দিন রাজস্থানের ব্যাটিং অর্ডারের কোমর একাই ভেঙে দেন হার্দিক। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে রাজস্থান ৯ উইকেট হারিয়ে করেন ১৩০ রান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।