শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শ্রেয়স আইয়ার ২৮ বলে অপরাজিত ৫৭ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৪৪ বলে অপরাজিত ৭৪ রান করেন তিনি। আর তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিনি করলেন ৪৫ বলে অপরাজিত ৭৩ রান। এই সিরিজে দুরন্ত পারফরম্যান্স করার পাশাপাশি হাফসেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক করে নয়া রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন শ্রেয়স আইয়ার। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রতিটা ম্যাচে অপরাজিত থেকে সর্বাধিক রান করার রেকর্ড করেন শ্রেয়স। এখন তিনি নিজের সেরা ছন্দে রয়েছেন। যা দেখে নিঃসন্দেহে উচ্ছ্বসিত কলকাতা নাইট রাইডার্স টিম কর্তৃপক্ষ।
তবে টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্রেয়স পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, এত ভালো পারফরম্যান্স করার পরেও বছরের শুরুটা তাঁর মোটেও ভালো হয়নি। এর কারণটা অবশ্য বেশ অন্য রকম। কেকেআর অধিনায়ক দাবি করেছেন, ‘আমরা যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় ছিলাম, তখন বছরের শুরুতে আমার খুব খারাপ পেটের সংক্রমণ হয়েছিল। আমি সেখানে সাত কেজি ওজন কমিয়েছি। মূলত, আমি যা খাচ্ছিলাম, তা বেরিয়ে যাচ্ছিল। আর সেই সময়টা আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়গুলির মধ্যে একটি ছিল।’
৩ নম্বরে নেমে দুরন্ত পারফরম্যান্স করা নিয়ে শ্রেয়স বলেছেন, ‘এই পজিশনে নিজের সেরাটা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে সেটা বাদ দিলে, আমি এই মুহূর্তে নিজেকে উপভোগ করছি এবং চোট থেকে ফেরার পর আমার ব্যাটিং নিয়েও আমি তৃপ্ত।’
গত বছর আইপিএলের আগে চোট এবং নেতৃত্ব চলে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, চোটটাই সব থেকে বড় ধাক্কা ছিল তাঁর কাছে। শ্রেয়সের দাবি, ‘চোটটা বড় ধাক্কা ছিল আমার কাছে। চোট না লাগলে নেতৃত্ব থেকেও সরতে হত না। ২০১৯ এবং '২০ সাল থেকে আমরা যে পরিবেশ তৈরি করেছি, দিল্লি ক্যাপিটালসে সে রকম সুন্দর পরিবেশের প্রতিফলন ছিল ২০২১ সালের শুরু থেকেই। পরিবেশটি একেবারে অন্য রকম ছিল। খেলোয়াড়রা একে অপরকে পূর্ণ ভাবে চিনত। তাদের শক্তি এবং দুর্বলতাগুলি জানত। আমি এই নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না।’
পোস্ট রিহ্যাব পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শ্রেয়স আবার বলেছেন, ‘যখন আমি দক্ষিণ আফ্রিকায় ছিলাম এবং পুরো পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলাম, তখন আমি মোটেও শক্তিশালী বোধ করছিলাম না। ব্যক্তিগত ভাবে, আমি অনুভব করেছি যে আমি ত্রিশ গজের বাইরেও বের হতে পারব না। কিন্তু এখন আমি অনুভব করি যে, ভুল শটও স্ট্যান্ডে ল্যান্ড করতে পারে। আমি এখন সে রকম মানসিকতার মধ্যে দিয়েই চলছি।’
ভারতের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড নিয়ে শ্রেয়স বলেছেন, ‘আমাদের এখন শক্তিশালী দল আছে। আর সেই উন্মাদনাটাও আছে এই কারণে, বাইরে বসে থাকা খেলোয়াড়রাও কিন্তু একাদশে থাকা খেলোয়াড়দের মতোই প্রতিভাবান। যে কোনও পরিস্থিতিতে যে কোনও অবস্থানে এসে পারফর্ম করার ক্ষমতা তাদের আছে।’
সেই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বল নষ্ট করার বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন শ্রেয়স। তিনি বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে প্রতিটি বলেই স্কোর করার কথা ভাবতে হবে। একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে আমি মনে করি, এই ফর্ম্যাটে ডট বল খেলাটা অপরাধ। প্রথম বলেই স্ম্যাশ করে, বোর্ডে দুর্দান্ত টোটাল সেট করতে হবে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।