রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ১৪৯ রান তাড়া করতে নেমে সুবিধাজনক জায়গা থেকেও ছয় রানে ম্যাচ হারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের আউট হওয়ার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে সানরাইজার্স দল। এরপরেই সানরাইজার্স দলের ব্যাটসম্যানদের তীব্র সমালোচনা মুখর হন আশিস নেহরা।
নেহরা সানরাইজার্সের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের শট নির্বাচনের সঙ্গে টেলএন্ডার ব্যাটসম্যানদের তুলনা টেনে এনে বলেন, ‘জনি বেয়ারস্টো, মণীশ পান্ডেরা যে ভাবে আউট হন, তা দেখে ওনারা যে ব্যাটসম্যান, বোঝা দায়। বল ঘুরলে দলের ৯,১০, ১১ নম্বর ব্যাটসম্যানরা মিড উইকেট বা লং-অনে বল মারার চেষ্টা করেন, কারণ তাঁদের কাছে আর বেশি বিকল্প থাকে না। যদি একজন ব্যাটসম্যান ফর্মে থাকেন এবং চাপের মুখে রান করতে অভ্যস্ত হন, তবে তাঁরা বাইরের দিকের বলগুলিকে মিড-অফ বা কভারের দিকে খেলার চেষ্টা করবে। সানরাইজার্স ব্যাটসম্যানরা, বিশেষত মণীশ পান্ডে টেলএন্ডারদের মতোই উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন।’
আরসিবির বিরুদ্ধে ৩৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন পান্ডে। গোটা ইনিংস জুড়েই রানের গতি বাড়াতে ব্যর্থ হন তিনি। চাপের মুখে দলের প্রয়োজনে রান না করতে পারাই তাঁকে ভারতীয় দলে জায়গা পাকা করা থেকে বিরত রেখছে বলে মনে করেন নেহেরা। প্রাক্তন ভারতীয় পেসার বলেন, ‘চাপের মুখ ব্য়র্থতাই মণীশ পান্ডেকে কোনওদিন ভারতীয় জাতীয় দলে জায়গা পাকা করতে দেয়নি। ওর পরে অভিযেক ঘটিয়েও তাই সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পন্ত, হার্দিক পান্ডিয়ারা জাতীয় দলের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। কারণ এরা জানে, চাপের মুখে কীভাবে খেলতে হয়।’
গত বছর ডিসেম্বরের শুরুতে পান্ডেকে শেষবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দেখা। সানরাইজার্স ব্যাটিং লাইন আপের অন্যতম স্তম্ভ পান্ডে চাইবেন দ্রুত ফর্মে ফিরতে। রবিবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে সেই লক্ষ্যেই থাকবেন পান্ডেসহ গোটা সানরাইজার্স দল।