গত বছর আইপিএলের শেষটা খারাপ হয়েছিল। এ বার শুরুটাও সেই খারাপই হল চেন্নাই সুপার কিংসের। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। শূন্য রানে বোল্ট হন অনামী আবেশ খানের বলে। চেন্নাইয়ের বোলাররাও এ দিন চূড়ান্ত হতাশ করলেন। সব মিলিয়ে প্রথম ম্যাচেই নিরাশ করলেন ধোনির সিএসকে।
এদিন চেন্নাই সুপার কিংসের হারের পিছনে চৌম্বকে কতকগুলি কারণ উঠে এসেছে:
১) পাওয়ার প্লে-র সময়ে চেন্নাই ২ উইকেট (৭ রানে) হারিয়ে বসেছিল। উল্টোদিকে দিল্লি ক্যাপিটালসের পৃথ্বী শ' এবং শিখর ধাওয়ান কিন্তু পুরোপুরি পাওয়ার প্লে-র ফায়দা তুলেছেন।
২) শিখর ধাওয়ান এবং পৃথ্বী শ'র পার্টনারশিপ ভাঙতে না পারা এ দিনের হারের আসল কারণ। প্রথম উইকেটে ৮১ বলে ১৩৮ রানের পার্টনারশিপ করেন শিখর-পৃথ্বী। যেটা ভাঙতে পারেনি চেন্নাই। দু'বার পৃথ্বী শ'র ক্যাচ ফেলেছে সিএসকে। প্রথম বার ৩৮ রানে এবং দ্বিতীয়বার ৪৭ রানে। প্রথম বারই যদি পৃথ্বীর ক্যাচ মিস না করত চেন্নাই, ফিল্ডিং যদি এতটা খারাপ না হত, তা হলে হয়তো অন্য রকম রেজাল্ট হতেই পারত!
৩) এ দিন চেন্নাই টিমে লুঙ্গি এনগিদির মতো একজন জোরে বোলারের অভাব বোধ হয়েছে। দলের সঙ্গে দেরি করে যোগ দেওয়ার কারণে প্রথম ম্যাচ খেলতে পারলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার লুঙ্গি এনগিদি। নিয়ম মেনে তিনি এখন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তিনি।
৪) মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো অধিনায়ক থাকার পরেও দিল্লিকে আটকানোর কোনও প্ল্যান-বি ছিল না। কোনও চমক ছিল না। যেটা ধোনির থেকে একেবারে অপ্রত্যাশিত।
৫) এদিন চেন্নাইকে ছন্নছাড়া লেগেছে। টিমটাকে একেবারেই গোছানো মনে হয়নি। সেটা ব্যাটিং লাইনআপ থেকে শুরু করে বোলিং পরিবর্তন বা প্লেয়ারদের পারফরম্যান্স, সবেতেই আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল। সেখানে দিল্লি ক্যাপিটালস যেন শুরু থেকেই টগবগ করে ফুটছিল। এ ছাড়াও বলা হয়ে থাকে, ওয়াংখেড়েতে পরে ব্যাট করে যে দল, তারাই জেতে। ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত কিন্তু পরে ব্যাট করেছিল। এ দিন টসে জিতে দিল্লির অধিনায়ক ঋষভ পন্ত ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।