পরপর চার ম্যাচ হেরে লিগ তালিকার তলানিতে ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এমন অবস্থায় পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচে জয় শুধু গুরুত্বপূ্র্ণই নয়, আবশ্যকও ছিল বটে। আমেদাবাদের মাঠে সেটাই করে দেখাল কেকেআর। পাঁচ উইকেট ও ২০ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১২৪ রান তুলে নেন তাঁরা।
তবে দলের জয়ের ভিত গড়েন কেকেআর বোলাররা। টসে জিতে শিশিরের কথা মাথায় রেখে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন মর্গ্যান। শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সৌজন্যে পঞ্জাবের ব্যাটসম্যানদের চাপে রেখেছিল নাইট বাহিনী। এরপর মিডল ওভারে স্পিনের ফাঁসে আটকে পড়ে পঞ্জাব। কেকেআর দলের দু'ই স্পিনার সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তীকে মিলে আট ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ৪৬ রান খরচ করে তুলে নেন তিন উইকেট। মিডল ওভারে তাঁদের নিয়ন্ত্রত বোলিংই পঞ্জাব ব্যাটিংয়ের কোমর ভেঙে দেয়।
কিন্তু আমদাবাদ মাঠে শিশিরের পরিমাণ অন্যান্য জায়গা থেকে অনেকটাই বেশি, যা স্পিনারদের বল ধরতে সমস্যায় ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত যে দল পরে বল করবে। তবে নিজের দলের স্পিনারদের নিয়ে আশ্বস্ত মর্গ্যান পরে বল করলেও চিন্তার কোনও কারণ দেখছেন না।
ম্যাচের পর তিনি জানান, 'অন্যান্য টিমেদের থেকে আমাদের সুবিধা হল, আমাদের দলের স্পিনাররা ড্রিফট বা স্পিনের ওপর বেশি নির্ভর করে না। ওরা মূলত গতি পরিবর্তন ও লাইন লেংথের ওপরেই বেশি প্রাধান্য দেয় এবং সামান্য পরিমাণেই বল ঘোরানোর চেষ্টা করে। ফলে মাঠে শিশির থাকলেও ওদের খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আজ আমাদের দু'ই স্পিনারই দারুণ বল করেছে।' নাইট সমর্থকরা আশা করবেন তাঁদের 'মিস্ট্রি স্পিনার'রা যেন আগামী ম্যাচ গুলোতেও নিজেদের ফর্ম ধরে রাখতে পারেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।