আইপিএলের শুরুতেই পর পর তিন ম্য়াচে জিতে নতুন রেকর্ড গড়ল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। এর আগে কখনও টুর্নামেন্টের শুরুতে পরপর তিন ম্যাচে তারা জয় পায়নি। রবিবার তারা পৌঁছে গেল শীর্ষে। স্বাভাবিক ভাবেই কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারানোর পর উচ্ছ্বাসের জোয়ারে ভাসল আরসিবি। ড্রেসিংরুমও সেই উচ্ছ্বাসের ঢেউ আছড়ে পড়ল।
রবিবারের জয়ের পর আরসিবি-র তরফেই ড্রেসিংরুমের ছবি শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে ক্রিকেটারদের খোলামেলা মেজাজে পাওয়া গিয়েছে। তবে পরের ম্যাচের ভাবনা কিন্তু এখন থেকেই গোটা টিমের মাথায় রয়েছে। এবি ডি'ভিলিয়ার্স যেমন বলছিলেন, ‘এই ম্যাচে জয় পাওয়াটা বড় বিষয়। রাতে সেলিব্রেটও করব। তবে মনে রাখতে হবে, আরও একটি বড় ম্যাচ কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের খেলতে হবে মুম্বইয়ে।’ এর আগে অবশ্য পরিবারের ছবি মোবাইলে দেখে একটু হলেও নস্ট্যাজিক হয়ে পড়েছিলেন ডি'ভিলিয়ার্স। বলছিলেন, তাঁর ছেলেরা এখন ক্রিকেট খেলা বুঝতে শিখেছে। তাদের বাবা যে খেলে, সেটা বোঝে। এটা ভেবেই প্রোটিয়া তারকা ক্রিকেটার খুব আনন্দ পান।
দলের হেড কোচ সাইমন কাটিচ এবং সঞ্জয় বাঙ্গার আবার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং এবি ডি'ভিলিয়ার্সের। সাইমন কাটিচ বলেছেন।, ‘দু' উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ম্যাক্সওয়েল যে চাপের মধ্যে খেলেছে, সেটা অসাধারণ। ম্যাক্সওয়েল এবং পাড্ডিকলের (দেবদূত) পার্টনারশিপ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ম্যাক্সওয়েল কেকেআর-কে চাপে ফেলে দিয়েছিল। এবি ডি'ভিলিয়ার্স একজন অসাধারণ ক্রিকেটার।’
রবিবার টসে জিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আরসিবি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৪৯ বলে ৭৮) এবং এবি ডি'ভিলায়ার্সের (৩৪ বলে ৭৬) সৌজন্যে রানের (২০৪) পাহাড় গড়ে ব্যাঙ্গালোর। ২০৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানেই শেষ হয়ে যায় কলকাতার ইনিংস। ৩৮ রানে ম্যাচ পকেটে পুড়ে ফেলে বিরাটের দল। ব্যাঙ্গালোর পরের ম্যাচগুলি মুম্বইয়ে খেলবে। ২২ এপ্রিল রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।