মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কেন আইপিএলের সবচেয়ে সফলতম ফ্রাঞ্চাইজি, মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) রাতে আবারও তার প্রমাণ মিলল। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে পল্টনরা মরণ বাঁচন ম্যাচে শুধু জিতলেনই না, রীতিমতো রাজস্থানকে ক্রিকেটের পাঠ পড়ালেন। শুরু থেকে শেষ অবধি দাপুটে পারফরম্যান্সের ভীত কিন্তু মুম্বইয়ের বোলাররাই রাখেন।
শারজার ময়দানে পাওয়ার প্লেতে এক উইকেটের বিনিময়ে ৪২ রান করে শুরুটা কিন্তু খারাপ করেনি রাজস্থান। তবে নিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং বোলারদের আগ্রাসনের সামনে একে একে অসহায় আত্মসমর্পন করেন সঞ্জু স্যামসন, ডেভিড মিলাররা। ম্যাচের আগে এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় কোচ রবি শাস্ত্রী মুম্বইয়ের বোলিং আক্রমণকেই এ বছর দলের ব্যর্থতার কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন। রাজস্থানের বিরুদ্ধে সেই বোলিংয়ে ভর করে দাপুটে জয় পেল মায়ানগরীর ফ্রাঞ্চাইজি।
মুম্বইয়ের তিন ফাস্ট বোলার জসপ্রীত বুমরাহ, নাথান কুল্টার নাইল ও জিমি নিশাম মিলে এদিনের পারফরম্যান্সে রাজস্থানকে কোন সময়ই ম্যাচে ফেরার সুযোগ দেননি। উইকেট তো নিয়েছেনই, উল্টে তিনজনই কৃপণ বোলিং করে আইপিএলের ইতিহাসে নিজেদের নাম লিখিয়ে ফেলেছেন। কুল্টার নাইল সফলতম বোলার হিসাবে নিজের চার ওভারে ১৪ রানের বিনিময়ে চার উইকেট নেন। বুমরাহ এবং নিশামও সমসংখ্যক ওভার বল করে যথাক্রমে ১৪ রানের বিনিময়ে দুই এবং ১২ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট পান।
আইপিএলের ইতিহাসে এই প্রথম কোন দলের তিন বোলারই নিজেদের চার ওভারই বল করে ১৫ রানেরও কম দেন। টুর্নামেন্টের পরের পর্বে যাওয়ার আশা বজায় রাখতে আসন্ন ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেও বোলার এহেন ফর্ম যেন বজায় থাকে, এমনটাই আশা করবেন টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে সমর্থক সকলেই।