শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ২০১২ সালের আইপিএলের ফাইনালের মতোই ফের খেতাবি লড়াইয়ে মুখোমুখি হতে চলেছে চেন্নাই সুপার কিংস এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেবার কেকেআরের অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের হাতে ট্রফি উঠেছিল। এবারের মোকাবিলায় কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে সেই নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু রয়েছে। তবে গম্ভীরের মতে কেকেআর বোলিং বনাম সিএসকে ব্যাটিংয়ের মধ্য়েই আসল টক্করটা হতে চলেছে।
শারজায় বিগত কয়েক ম্যাচে নাইটদের ব্যাটিং একটু নড়বড়ে দেখালেও স্পিন সহায়ক পিচে কেকেআর বোলাররা আগুন ঝড়িয়েছেন। গোটা টুর্নামেন্টেই বরুণ চক্রবর্তীর স্পিনে মন্ত্রমুগ্ধ হয়েছেন সমর্থক থেকে বিশেষজ্ঞ সকলেই। বরুণ এবং সুনীল নারিনের নেওয়া মোট ৩২টি উইকেট, এ বছর যে কোন ফ্রাঞ্চাইজির স্পিন যুগলের থেকে বেশি। তবে সিএসকের দুই ওপেনার ফ্যাফ ডু'প্লেসি এবং রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের সম্মিলিত ১১৫০ রানের থেকে বেশি রান কোন ফ্রাঞ্চাইজির ওপেনাররা করেননি। কিন্তু যেহেতু ফাইনাল শারজা নয়, বরং দুবাইয়ে হচ্ছে তাই স্পিনারদের থেকেও নাইটদের বোলারদের মধ্যে কিউয়ি পেসার লকি ফার্গুসন অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে মনে করছেন গৌতি।
ESPNcricinfo-র সঙ্গে কথোপকথনে তিনি বলেন, ‘শুধু রুতুরাজ গায়কোয়াড়ই নয়, ফ্যাফ ডু'প্লেসিও দারুণ ফর্মে রয়েছে। এমকী রবিন উথাপ্পাও গত ম্যাচে একটা দারুণ ইনিংস খেলেছে। আসল লড়াইটা নিঃসন্দেহে সিএসকের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে কেকেআরের বোলিংয়ের হতে চলেছে। লকি এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, কারণ খেলাটা দুবাইয়ে হবে। যদি শারজায় খেলা হত, তাহলে ব্যাপারটা অন্যরকম হতো, তবে লকি ফার্গুসনকে দুবাইয়ের পিচে খুবই ভাল বল করতে হবে।’ প্রসঙ্গত, মরশুমের দ্বিতীয় ভাগে এসে লকি সাত ম্যাচে এখনও অবধি ১৩টি উইকেট নিয়েছেন তাও টুর্নামেন্ট সেরা ১২.৯২-র গড়ে।