লাল বলের ক্রিকেট হোক কিংবা টি-টোয়েন্টির ধুমধাড়াক্কা, লোকেশ রাহুলের ব্যাট থেকে রানের বন্যা অব্যাহত। তাঁর দল পঞ্জাব কিংস তেমন সাফল্য না পেলেও, বিগত কয়েক বছরে আইপিএলে সবথেকে ধারাবাহিক ব্যাটারদের মধ্যে একেবারে শীর্ষে থাকবেন লোকেশ রাহুল। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধেও ফের একবার তাঁর ব্যাট কথা বলেছে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বরাবরই আন্দ্রে রাসেল, ক্রিস গেইলের মতো পাওয়ার প্লেয়ারদের জয়জয়কার। তবে চারদিকে শক্তিশালী ক্রিকেটারদের বাহুবলে লম্বা লম্বা ছক্কা হাঁকানোর মাঝেই রাহুল প্রমাণ করেন ভাল ব্যাটসম্যান যেন ফর্ম্যাটে নিজের দক্ষতায় সফল হতে পারে, তার জন্য রাসেলদের মতো বাহুবল না হলেও স্রেফ টাইমিংয়ের জোরেই বাজিমাত করা যায়। নাইটদের বিরুদ্ধে ম্যাচেই রাহুলের ৫৫ বলে ৬৭ রানই পঞ্জাবের জয়ের ভীত গড়ে দেয়। এই ম্যাচেই পঞ্জাব অধিনায়ক গড়ে ফেললেন এক অনন্য নজির।
অতীতে যুবরাজ সিং, শন মার্শদের মতো বেশ কিছু ছক্কা হাঁঁকাতে পটু ক্রিকেটাররা পঞ্জাব জার্সি গায়ে খেললেও রাহুলই প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে প্রীতি জিন্টার দলের হয়ে আইপিএলে ১০০টি ছক্কা হাঁকালেন। শারীরিকভাবে রাহুলকে দেখে তাঁর এতো ছক্কা মারার কথা সচরাচর কারুর নজরে না পরলেও পরিসংখ্যান কিন্তু অন্য কথাই বলে। বাকি সব বছরের কথা বাদ দিলে, স্রেফ এই বছরের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেও দেখা যাবে পোলার্ড, হার্দিক পান্ডিয়াদের ভীড়ে রাহুলই সবচেয়ে বেশি (২০টি) ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
রাহুলের পরে পঞ্জাবের সর্বাধিক ছয় মারার কৃতিত্ব রয়েছে ক্রিস গেইলের দখলে। তিনি এখনও অবধি ৯২টি ছয় হাঁকিয়েছেন। প্রসঙ্গত, রাহুল ও গেইল, দুই ক্রিকেটারই পঞ্জাবের হয়ে ২০১৮ সাল থেকে খেলছেন। গেইলকে এই তালিকায় দেখে কেউ অবাক না হলেও রাহুলের এই কৃতিত্বে আবারও প্রমাণ হয়ে যায়, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও সুন্দর টাইমিংয়ের ওপর ভর করে সাফল্য পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।