আইপিএলের মঞ্চে প্রতিবছরই অনামী কিছু তারকা নিজেদের প্রতিভার দমে লাইমলাইট কেড়ে নেন। এ বছরও তার অন্যথা হয়নি। আইপিএলের প্রথম ভাগে তেমন সুযোগ না পেলেও মরুশহরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে বেশ কয়েকটি ভাল ইনিংস খেলেছিলেন কেএস ভরত। তবে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো ইনিংসের পর নিশ্চিত তাঁর সুখ্যাতি আগের থেকে বহুগুন বেড়ে গিয়েছে।
দিল্লির করা ১৬৪ রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার দেবদূত পাডিক্কাল দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ার পরে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন কেএস ভরত। ৫২ বলে ৭৮ রানের তাঁর অনবদ্য ইনিংস শুধু যে সমর্থক থেকে বিশেষজ্ঞ, সকলের নজর কেড়েছে, তা নয়, দলকে ম্যাচের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জয়ও এনে দিয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। এক অসাধারণ ইনিংসের পর শেষ বলে পাঁচ রান বাকি থাকায়, ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জেতান ভরত। তবে শেষ বলের আগে ঠিক কী মাথায় চলছিল তাঁর?
ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ ভরত জানান, ‘ম্যাচ শেষ বলে ম্যাচ জেতার অনুভূতিটা দারুণ। ম্যাচ শেষ করতে পেরে খুবই খুশি। পিচে আমি ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে ভালভাবেই কি করতে হবে না করতে হবে, তা পরিকল্পনা করে এগোচ্ছিলাম। বর্তমান সময়ের মধ্যে থেকেই ওয়াইডের পর শেষ বলে সুযোগ নিয়ে আমি ম্যাচ জেতানোর লক্ষ্যেই ছিলাম।’
তবে ভরত ভাগ্যে বিশ্বাসী নন, বরং তাঁর সাফ জাবাব, কঠোর পরিশ্রমের ফলেই মিলেছে এই সাফল্য। ‘রান তাড়া করতে নেমে সত্যি বলতে কোন সময়ই আমি বিন্দুমাত্র চাপ অনুভব করিনি। স্পিনারদের খেলার জন্য আমি নিজের ব্যাটিংয়ে ওপর কসরত করেছি।বিনা পরিশ্রমে ফ্রিতে কিছু পাওয়ায় আমি বিশ্বাসী নই, এই সবটার জন্যই আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি।’ দাবি আরসিবি নায়কের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।