এখনও আইপিএল ট্রফি অধরা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছে। এই যন্ত্রণা বোধহয় সবচেয়ে বেশি বিরাট কোহলির। কারণ শুরু থেকেই তিনি এই দলের সঙ্গে রয়েছেন। পরে আরসিবি-র অধিনায়ক হয়েছেন। কিন্তু ট্রফি অধরা রয়ে গিয়েছে।
বিরাটের সঙ্গে বহু বছর ধরেই টানা আরসিবি-তে খেলছেন এবি ডি'ভিলিয়ার্সও। তাঁর আগে অবশ্য দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের (বর্তমাতে দিল্লি ক্যাপিটালস) হয়ে খেলেছেন। কিন্তু তিনিও কখনও আইপিএল ট্রফি জয়ের স্বাদ পাননি। এ বার যদি আরসিবি আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হতে পারে, তা হলে নাকি আনন্দে অজ্ঞানই হয়ে এবি ডি'ভিলিয়ার্স।
ডি’ভিলিয়ার্স বলেছেন, ‘ট্রফি জিততে কে না চায়! আমিও আইপিএল জয়ের স্বাদ পেতে চাই। তবে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কী করব জানি না। হয়তো অজ্ঞান হয়ে যাব।’ আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দ ঠিক কতটা, সেটা নিজে না জানলেও, যাঁরা এই ট্রফি জিতেছেন, তাঁদের থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতির কথা জেনেছেন ডি'ভিলিয়ার্স। বলছিলেন, ‘যারা ট্রফি জিতেছে, যেমন শেন ওয়াটসন, ওর সঙ্গে কথা বলেছি। ওয়াটসন বলেছিল, ট্রফি জেতার কয়েক মুহূর্ত পর বোঝা যায় ট্রফি জেতার থেকেও এই টুর্নামেন্ট থেকে অনেক বড় প্রাপ্তি রয়েছে।’
এখনও পর্যন্ত এ বারের আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দু'টি ম্যাচই জিতেছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়েছে। রবিবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধেও জয়ের ধারা ধরে রাখতে চাইবে বিরাট বাহিনী। ডি'ভিলিয়ার্স অবশ্য বলছিলেন, ‘পৃথিবীর সব থেকে বড় প্রতিযোগীতায় (আইপিএল) অংশ নেওয়া, দলের সকলের সঙ্গে একাত্ম হওয়া, এগুলো ট্রফি জয়ের থেকেও বড়। এই টুর্নামেন্টে খেলতে এসে যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়, তা মূল্যবান। তবে মিথ্যে বলে লাভ নেই, আমরা ট্রফিটাও জিততে চাই। আর সেটাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।