মরশুমের শেষ গ্রুপ লিগ ম্যাচে প্লে-অফে নিজেদের জায়গা পাকা করতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে অন্তত ১৭১ রানের ব্যবধানে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে পরাস্ত করতে হত। নিজেদের নির্ধারিত বিশ ওভারে ২৩৬ রানের বিশাল স্কোর খাড়া করেও কার্যত অসম্ভবকে সম্ভব করতে ব্যর্থ হয় পল্টনরা। তবে ৪২ রানে ম্যাচ জিতে অনাবশ্যক নজির গড়ে ফেলে মুম্বই।
মুম্বই এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স, দুই দলই নিজেদের ১৪ ম্যাচের পর সাতটি জয় নিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করলেও অধিক ভাল নেট রান রেটের থাকার দরুণ প্লে-অফে পৌঁছে যায় নাইট শিবির। মরশুমের শেষ ম্যাচে ম্যাচ জেতা তো অবশ্যই, তবে আসল খেলাটা ছিল নেট রান রেটের। সমসংখ্যক ম্যাচ জিতলেও কেকেআরের নেট রান রেট বরাবরই তিনটে দাপুটে জয়ের সুবাদে বেশ ভাল ছিল। অবশ্য নেট রান রেটই তাঁদের মদতে আসে। তবে মুম্বইয়ের কষ্টটা হয়তো কিছুটা হলেও কেকেআর শিবির বুঝতে পারবে, কারণ গত দুই বছর তারাও যে নেট রান রেটের জেরেই টুর্নামেন্টের প্লে-অফে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়েছিল।
সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে ৪২ রানে জয় মুম্বই নেট রান পজিটিভ ০.১১৬ করে দিলেও তা কোয়ালিফাই করার জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। ঘটনাক্রমে, এত ভাল নেট রান রেট নিয়ে আইপিএলের ইতিহাসে আর কোন দল প্লে-অফে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়নি। মুম্বইয়ের পরেই ভাল নেট রান রেট নিয়ে প্লে-অফে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রেয়েছে রাজস্থান রয়্যালস (+০.০৬০, ২০১৪ সালে) এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স (+০.০২৮, ২০১৯ সালে)।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।