রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার মরণ বাঁচন ম্যাচে মাঠে নেমেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে এই ম্যাচ জিততেই হত পল্টনদের। এহেন পরিস্থিতিতে মুম্বই শুধু রাজস্থানকে হারায়ই না, বলা ভাল দুরমুশ করে। ৭০ বল ও আট উইকেট হাতে রেখে তারা জিতে নেয় ম্যাচ। এই দাপুটে জয়েই আবার ব্যক্তিগত নজির গড়ে ফেললেন দলের দুই মহাতারকা রোহিত শর্মা এবং জসপ্রীত বুমরাহ।
নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকা মুম্বই, সামান্য ৯১ রান তাড়া করতে নেমে নিজেদের নেট রান রেট ভাল করার জন্য শুরু থেকেই বদ্ধপরিকর ছিল। ইশান কিষাণ কিছুটা দেখেশুনে প্রথমে খেললেও অধিনায়ক রোহিত আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করে দলের মনোভাব স্পষ্ট করে দেন। নিজের ১৩ বলে ২২ রানের ছোট্ট ইনিংসে রোহিত একটি চার ও দু'টি ছক্কা হাকান। এর ফলেই প্রথম ভারতীয় হিসাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৪০০ ছয় মারার অনন্য নজির গড়ে ফেলেন হিটম্যান। যদিও এই তালিকায় শীর্ষে থাকা ক্রিস গেইল (১০৪২) ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা সতীর্থ কায়রন পোলার্ডের (৭৫৮) থেকে তিনি বেশ কিছুটা পিছিয়ে।
তবে দলের দাপুটে জয়ের জন্য জমিটা তৈরি করেন মুম্বই বোলাররাই। নিয়ন্ত্রিত বোলিং ও প্রতিনিয়ত উইকেট নিয়ে রাজস্থানের ইনিংস কোন সময়েই দ্রুত গতিতে এগোনোর সুযোগ দেননি তাঁরা। দলের মুখ্য ফাস্ট বোলার জসপ্রীত বুমরাহ এদিন চার ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৪ রান খরচ করে দুই উইকেটও তুলে নেন। মুম্বইয়ের হয়ে অনেকদিন ধরেই দলের বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারতীয় ফাস্ট বোলার। এদিন ম্যাচে তাঁর করা ১৮টা ডট বল, আইপিএলের ইতিহাসে এক ম্যাচে কোন মুম্বই বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। দলের সবচেয়ে মুশকিল পরিস্থিতিতে যে দলের মেগাস্টাররা পারফর্ম করে জাত চিনিয়েছেন, তা এই দুই নজিরই প্রমাণ করে দেয়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।