১১১ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপের পর টি-টোয়েন্টি ম্যাচে যে কোন দলের অন্তত ১৭০-১৮০ রান করাটাই কাম্য। তবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর শারজায় চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ইনিংস শেষে মাত্র ১৫৬ রানই তুলতে সক্ষম হয়। পরিণামে ম্যাচও হারতে হয় আরসিবিকে। দেবদূত পাডিক্কাল কিন্তু এক্ষেত্রে মন্থর পিচেরই দোহাই দিচ্ছেন।
পাডিক্কালের ৭০ রানের ঝলমলে ইনিংসও দলকে ম্যাচ জেতাতে পারিনি। ১৫৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের ৩৮ ও আম্বাতি রায়াডুর ৩২ রানে ভর করে সিএসকে ম্যাচ জিতে নেয়। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে আরসিবি ওপেনার দাবি করেন, ‘সবসময়ই কোন না কোন জায়গায় উন্নতির সুযোগ থাকে। ওই পরিস্থিতিতে আমরা ইনিংসের শেষ অবধি খেলার চেষ্টা করছিলাম। উইকেট ক্রমশই মন্থর হয়ে পড়ছিল এবং আমরা জানতাম নতুন ব্যাটারের পক্ষে রান করা সহজ হবে না। তাই ইনিংসের শেষ অবধি খেলে সুযোগ পেলেই বড় শট খেলার প্রয়াসে ছিলাম আমরা।’
দুরন্ত ওপেনিং পার্টনারশিপের পরেই ব্যাটিংয়ের এহেন ব্যর্থতায় আরসিবির দিকে সমালোচনা ধেয়ে এসেছে। পাডিক্কালও মেনে নিচ্ছেন দলের নিদেনপক্ষে ১৮০ রানের আশেপাশে করা উচিত ছিল। ‘নিঃসন্দেহে ওরকম একটা স্টার্টের পর ১৭০-১৮০ রান করা উচিতই ছিল। আমরা নিজেদের জন্য কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির না করে প্রতিটা বল খেলার চেষ্টা করছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত সিএসকের বিরুদ্ধে তা কাজে আসেনি। তবে আশা করছি পরের ম্যাচগুলিতে আমরা সফল হব।’ আশাবাদী পাডিক্কাল। আরসিবি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে মাঠে নামবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।